উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গণবিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে তুরস্ক (Turkey)। গত পাঁচদিন ধরে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ-জমায়েতে শামিল হওয়ায়, অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ১,১৩৩ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার (Arrest) করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দেশ-বিদেশের ৯ জন সাংবাদিকও রয়েছেন বলে খবর।
ইস্তানবুলের মেয়র তথা তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি বা সিএইচপি-র নেতা একরেম ইমামোগুলকে মেয়র পদ থেকে অপসারিত করা হয় গত বুধবার। এরপর তাঁকে আটক এবং পরে গ্রেপ্তার করা হয়। দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিকে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই তাঁকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এনিয়ে রাগে ফুঁসছিলেন তুরস্কের মানুষ। আঙ্কারা, ইস্তানবুল সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, প্রতিবাদের নামে তুরস্কের রাস্তায় কোনওরকম অগণতান্ত্রিক বা নাশকতামূলক কাজ করা যাবে না। ফলে পরিস্থিতি কড়া হাতে দমনে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। এখনও সেদেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনেক দেরি। ২০২৮ সালে নির্বাচন। তবু সেই নির্বাচনকে ঘিরে এই অশান্তি শুরু হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। বিরোধী দলের প্রধান নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে এরদোগান প্রশাসন।