মানিকচক: মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী দুর্নীতির (Kanyashree venture) অভিযোগে বেশ কয়েক মাস ধরে সরগরম মানিকচক (Manikchak)। মালদার মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ৪৬ জন ছাত্রীর কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা গায়েব! অভিযোগ উঠে ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক তথা মানিকচক ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি সুনন্দ মজুমদারের বিরুদ্ধে। কন্যাশ্রী দুর্নীতিতে নাম জড়ায় সেই স্কুলের অস্থায়ী কর্মী লিটু মমিন ও এক পার্শ্ব শিক্ষকেরও। কন্যাশ্রী প্রকল্পে বঞ্চিত ছাত্রীরা মানিকচক ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। এমনকি সহকারি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায়ও লিখিত অভিযোগ জানান। তবু দীর্ঘ চার মাস কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত ছাত্রীরা।
সোমবার এসএফআই (SFI) এর রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে কন্যাশ্রী বঞ্চিত ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন। প্রথমে ছাত্রীদের বাড়ি যান। তারপর বিদ্যালয়ে গিয়ে কন্যাশ্রীর টাকার দাবিতে স্কুল চত্বরে ধরনায় বসেন। হকের টাকা ফেরত এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে চলে জোড় স্লোগান। প্রধান শিক্ষক বাদিউজ্জামান উপস্থিত না থাকায় তার সঙ্গে ফোন মারফত কথা বলেন রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে এবং তড়িঘড়ি বঞ্চিত ছাত্রীদের কন্যাশ্রী টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানান। পুলিশ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আইনজীবীদের সঙ্গে আইনি পরামর্শ নিয়ে উচ্চ আদালতের (Calacutta Excessive Courtroom) দ্বারস্থ হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন এসএফআই এর রাজ্য সম্পাদক।
এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘মেয়েদের হকের কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা চুরি করে পালিয়ে গেছে তৃণমূল নেতা তথা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্প তৃণমূল নেতাদের চুরি করার জন্যই বানানো হয়েছে। অথচ প্রশাসন কিছুই করছে না। পুলিশ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা আইনজীবীদের আইনি পরামর্শ অনুযায়ী হাইকোর্টে মামলা করবো।’
বঞ্চিত ছাত্রী পায়েল খাতুনের বক্তব্য, ‘আমাদের হকের টাকা সহকারি প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার চুরি করেছে। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আজ এসএফআই এর রাজ্য সম্পাদক এসেছিলেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাশে থাকবেন আশ্বাস দিয়েছেন।’
