TMC | রাস্তার মাঝে মহিলাদের মারছেন পঞ্চায়েত সদস্য! তৃণমূল নেতার ‘কীর্তি’ দেখলে চোখ কপালে উঠবে

TMC | রাস্তার মাঝে মহিলাদের মারছেন পঞ্চায়েত সদস্য! তৃণমূল নেতার ‘কীর্তি’ দেখলে চোখ কপালে উঠবে

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


ফালাকাটা: কখনও লাঠি হাতে, কখনও আবার পা উঁচু করে লাথি, আবার কখনও হাত দিয়ে ধাক্কা! মহিলাদের মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটা (Falakata) ব্লকের ময়রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুঞ্জনগরে। অভিযুক্ত কুঞ্জনগরের পঞ্চায়েত সদস্য অসিত করের এমন দাদাগিরির একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ইতিমধ্যে ভাইরাল। আবার সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (BJP Chief Shuvendu Adhikari)। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি (উত্তরবঙ্গ সংবাদ অনলাইন)। গোটা বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপির নেতারাও। তবে তৃণমূলের (TMC) দাবি, বিজেপির উস্কানিতেই গ্রামের কেউ কেউ পঞ্চায়েত সদস্যকে তাড়া করেন। আক্রান্তরা গতকাল রাতেই ফালাকাটা থানায় (Falakata Police Station) লিখিত অভিযোগ করেন।

ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের মোবাইল সুইচ অফ। বার বার চেষ্টা করেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ঘটনার সূত্রপাত কুঞ্জনগরে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প নিয়ে। স্থানীয়রা প্রথম থেকেই ওই প্রকল্পের বিরোধী। গতকাল সেখানে জেলা প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দলও এসে কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। তাঁরা চলে যাওয়ার পর পঞ্চায়েত সদস্য রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাঁর সঙ্গে গ্রামের বাসিন্দাদের তর্কাতর্কি শুরু হয়। তখনই উত্তেজিত হয়ে পঞ্চায়েত সদস্য গ্রামের মহিলা ও বৃদ্বদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় গৃহবধূ রুপা দাসের কথায়, ‘ওই পঞ্চায়েত সদস্য আমাকেও মারধর করে। আমার শাশুড়িকে মারে। আরও কয়েকজন মহিলাকে ধাক্কা দেয়। তাঁর নামে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হবে।’

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। বিজেপির (BJP) ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন বলেন, ‘তৃণমূলের একজন পঞ্চায়েত সদস্য প্রকাশ্যে মহিলাদের মারধর করেছেন। দ্রুত ওই পঞ্চায়েত সদস্যের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’  তবে তৃণমূলের ফালাকাটা গ্রামীণ ব্লক সভাপতি সঞ্জয় দাস বলেন, ‘ওখানে সরকারি প্রকল্প দেখতে গিয়েছিলেন আমাদের দুই পঞ্চায়েত সদস্য অসিত কর ও অর্জুন দাস। ফেরার পথে বিজেপি চক্রান্ত করে মহিলাদের উস্কে দেয়। তারপর সেখান থেকে কোনওরকমে দৌড়ে যান দুই পঞ্চায়েত সদস্য। এটা পুরোপুরি বিজেপির চক্রান্ত।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *