উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে সদ্যোজাত পাচারের অভিযোগ সামনে এসেছে একাধিকবার। এই নিয়ে মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court docket)। সেই সঙ্গে দেশে এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জারি করা হয়েছে কঠোর নির্দেশ। সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনও হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত পাচারের ঘটনা সামনে এলেই প্রথমে ওই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল (Licence suspension) করতে হবে।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, সমস্ত নিম্ন আদালতগুলিকে শিশু পাচার (Youngster Trafficking) সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি ৬ মাসের মধ্যেই করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন বিচার প্রক্রিয়া চালাতে হবে। প্রতিটি নিম্ন আদালতের কাছে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিতে হবে হাইকোর্টগুলিকে।
এদিন উত্তরপ্রদেশের এক শিশু পাচার মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। এক পাচার হওয়া সদ্যোজাতকে ৪ লক্ষ টাকায় কেনার অভিযোগ উঠেছিল এক নিঃসন্তান দম্পতির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে উঠলে এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করা হয়। এরপরই অভিযুক্তদের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছে, ‘অভিযুক্তরা পুত্রসন্তান চাইছিলেন। কিন্তু তাই বলে পুত্রের আশায় কারও পাচার হওয়া সন্তানকে আপনি নিতে পারেন না। অভিযুক্ত জানতেন যে ওই শিশুটিকে পাচার করা হয়েছে। এই অভিযুক্তরা সমাজের জন্য গুরুতর হুমকি। জামিন মঞ্জুর করার সময় হাইকোর্টের উচিত ছিল সপ্তাহে একবার থানায় হাজিরা দেওয়ার শর্ত দেওয়া। কিন্তু এখন পুলিশ সমস্ত অভিযুক্তের খোঁজ হারিয়ে ফেলেছে।’ প্রত্যেক অভিযুক্তকে থানায় আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মহাদেবনের বেঞ্চ।