Sunil Gavaskar | ‘১০০০০ গাভাসকার’, সানিকে সম্মান বোর্ডের, চিয়ারলিডার ছাড়াই বাকি লিগের ভাবনা

Sunil Gavaskar | ‘১০০০০ গাভাসকার’, সানিকে সম্মান বোর্ডের, চিয়ারলিডার ছাড়াই বাকি লিগের ভাবনা

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


মুম্বই: ৭ মার্চ, ১৯৮৭। আহমেদাবাদে ভারত-পাকিস্তান টেস্ট। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় দিন। প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ১০ হাজার রানের মাইলস্টোনে পা রাখেন সুনীল মনোহর গাভাসকার। মাঝের প্রায় চার দশকে গঙ্গা দিয়ে প্রচুর জল বয়ে গিয়েছে। গাভাসকারের পর বিশ্ব ক্রিকেটের আরও ১৪ জন দশ হাজার ক্লাবের সদস্য হয়েছেন।

যদিও প্রথম ব্যাটার হিসেবে শিখরে পা রাখার কীর্তি বাকিদের থেকে আলাদা করে দিয়েছে গাভাসকারকে। যে নজিরের সম্মানে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের তরফে নয়া পদক্ষেপ। মুম্বইস্থিত বোর্ডের সদর দপ্তরের একটি বোর্ডরুমের নাম রাখা হল ‘১০০০০ গাভাসকার’। লিটল মাস্টারই যে বোর্ডরুমের ফিতে কাটেন। উপস্থিত ছিলেন বোর্ড সভাপতি রজার বিনি, সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা ও সচিব দেবজিৎ শইকিয়া।

সমাজমাধ্যমে যে ভিডিও প্রকাশ করেছে বোর্ড। যেখানে বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, ‘কিংবদন্তিকে সম্মান। আইকনিক নজিরকে সম্মান জানিয়ে ‘১০০০০ গাভাসকার’ বোর্ডরুমের উদ্বোধন করা হল বোর্ডের মুম্বইস্থিত সদর দপ্তরে। উদ্বোধন করেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকারই।’ সম্মানিত সানিও বোর্ডের উদ্যোগে খুশি।

নিজের নামাঙ্কিত বোর্ডরুমের উদ্বোধনের পর গাভাসকার বলেছেন, ‘এমসিএ (মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন) আমার মা এবং বিসিসিআই আমার কাছে পিতাস্বরূপ। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ। আজ যে জায়গায় পৌঁছোতে পেরেছি, সেই সুযোগ পেয়ে আমি খুশি। ভারতীয় ক্রিকেটের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বিশাল সম্মান। এই সম্মান দেওয়ার জন্য বিসিসিআইকে ধন্যবাদ। ভারতীয় ক্রিকেটের কোনও কাজে যদি আমাকে প্রয়োজন পড়ে, খুশি মনে তা গ্রহণ করব। সবসময় প্রস্তুত।’

১২৫টি টেস্টের কেরিয়ারে ৫১ ব্যাটিং গড়ে ১০,১২২ রান করেন। রানের সঙ্গে সর্বাধিক ৩৪টি টেস্ট শতরানের বিশ্বরেকর্ডও গড়েছিলেন সেই সময়। গাভাসকারের পাশাপাশি শচীন তেন্ডুলকারকেও সম্মানিত করা হয়েছে একইভাবে। একটি রুমের নামকরণ করা হয়েছে ‘শচীন তেন্ডুলকার রুম’। বোর্ডের এক্স হ্যান্ডেলে রাজীব শুক্লা বলেছেন, ‘শচীন তেন্ডুলকার, সুনীল গাভাসকার রুমের উদ্বোধনের অঙ্গ হতে পেরে আমি খুশি। দুই কিংবদন্তিকে সম্মান জানানোর প্রয়াস, যাঁদের ক্রিকেটীয় অবদান প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’

এদিকে, চিয়ারলিডার, ডিজে বাজানো নিয়ে গাভাসকারের পরামর্শকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিসিআই। কিংবদন্তির যুক্তি ছিল, পহলগাম কাণ্ড, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে অনেকে তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। চলতি আবহে চিয়ারলিডার, ডিজে মানানসই হবে না। বোর্ড যা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে বলে সূত্রের খবর। বোর্ডের এক আধিকারিক জানান, লিগে এখনও ১৭টি ম্যাচ বাকি। সেই ম্যাচগুলি চিয়ারলিডার, ডিজে ছাড়া আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *