উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আক্রান্ত দলীয় কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে বজবজ গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। আর এসবের মাঝেই সুকান্তকে লক্ষ করে জুতো ছুড়ে মারা হয় বলে অভিযোগ উঠছে। এদিন সুকান্তকে লক্ষ করে ওঠে ‘চোর’ স্লোগানও।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিক্ষোভ চলাকালীন চটির কাটআউট ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল খোদ সুকান্তর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। এবার তার দিকেই উড়ে এল ‘আসল’(কাটআউট নয়) জুতো। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এটাই প্রশ্ন করতে চাই যে , এটাকে গণতন্ত্র বলে কিনা? ওনাকে অনুরোধ করব এই ভিডিওটা একবার দেখে নিতে। যেভাবে গণতন্ত্রকে আজকে রাস্তার মধ্যে নগ্ন করে, যেভাবে তাঁকে ধর্ষণ করা হল, এটাকে গণতন্ত্র বলে না। এই পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তার ভাইপো ও জাহাঙ্গির খান। এই কাজের জন্য জেহাদিদের নিয়ে আসা হয়েছে। এরা এখানকার লোক নয়। বাংলাদেশের লোক রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এসে এইসব করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে পাকিস্তান বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।’ ঘটনাটি নিয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।
অপরদিকে এই ঘটনায় মুখ খোলার ব্যাপারে পিছিয়ে থাকেননি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘মানুষের ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। তাঁরা ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না। উলটে বিজেপি ধর্মের নামে ভেদাভেদ করতে গেছে।’ উল্লেখ্য সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আগামী ১ অগাষ্ট থেকে পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই এই রায়দান করা হয়।