উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার অর্থাৎ আজ এসএসসির একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (SSC Examination)। প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফার পরীক্ষাও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রথম থেকেই তৎপর রয়েছে কমিশন। এদিন পরীক্ষায় বসতে চলেছেন ২,৪৬,৫০০ পরীক্ষার্থী। শূন্যপদ রয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। কোনও অনিয়ম বা কারচুপির রুখতে পরীক্ষার্থীদের জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে অনেক নিয়ম। অতীতের ভুলের পর এবারের পরীক্ষায় কার্যত কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না এসএসসি।
রাজ্যের ৪৭৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে হতে চলেছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। প্রথম দফার মতো এবারেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ১০টার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেলা ১২টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ। পাশাপাশি ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, মোবাইল বা যে কোনও প্রকার ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। স্বচ্ছ পেন (কালো বা নীল কালি) এবং স্বচ্ছ জলের বোতল নিয়েই শুধুমাত্র পরীক্ষার হলে ঢুকতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। গত রবিবারের মতো এই রবিবারও পরীক্ষার্থী এবং অন্যদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর খোলা থাকছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে চান। সেকথা মাথায় রেখেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশে তাঁর দপ্তর এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা করেছে। শনিবার এনিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকও করেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যা যা নির্দেশ দিয়েছিলেন আমরা সেই মোতাবেক এসএসসিকে জানিয়েছি। আমাদের দিক থেকে, দপ্তরের দিক থেকে তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রী সর্বোচ্চ স্তর থেকে এবং এসএসসিও সমস্ত ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে। আপনারা শান্তভাবে পরীক্ষা দিন। আশা রাখছি, পরীক্ষা শান্ত এবং নির্বিঘ্নে শেষ হবে।’
২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগে গোটা প্যানেল বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে চাকরি হারিয়েছিলেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই ফের নতুন করে সেই পরীক্ষা হচ্ছে। গত রবিবার সম্পন্ন হয়েছে নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। আর আজ হতে চলেছে একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা।