নয়াদিল্লি: দিল্লির বিধানসভা ভোটে শূন্যের হ্যাটট্রিক করার দু’দিনের মধ্যেই আবার জাতগণনার দাবি তুলল কংগ্রেস। সোমবার রাজ্যসভায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি জাতগণনা নিয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতি নেওয়ার অভিযোগ তোলেন নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ২০২১ সালের জনগণনার রিপোর্ট এখনও প্রকাশিত হয়নি। ফলে সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের অনেককেই এখনও খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর কথায়, ‘খাদ্য সুরক্ষা আইনের সুবিধাভোগীদের তালিকা ২০১১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে, যা বর্তমান জনসংখ্যার তুলনায় অনেক পুরোনো।’
সোনিয়া এদিন বলেন, ১০ বছর অন্তর জনগণনা হওয়ার কথা। এতদিন তা-ই হয়ে এসেছে। কিন্তু স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম দশবার্ষিক জনগণনা চার বছরের বেশি বিলম্বিত হয়েছে। ২০২১ সালে এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখনও তা নিয়ে কোনও সুস্পষ্ট ঘোষণা নেই। তাঁর দাবি, ‘সরকারি বাজেট বরাদ্দ দেখলে স্পষ্ট হয় যে, চলতি বছরেও জনগণনা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
খাদ্যের অধিকারের প্রসঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘সরকারের উচিত জনগণনার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা এবং সমস্ত যোগ্য নাগরিককে খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় সুবিধার ব্যবস্থা করা। কারণ, খাদ্য নিরাপত্তা কোনও বিশেষ সুবিধা নয়, এটা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার।’
সম্প্রতি লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি অভিযোগ করেছিলেন, বর্তমানে ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী খাদ্যসুরক্ষা আইনে সহায়তা করা হচ্ছে। এর ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের অন্তত ১৪ কোটি মানুষ।