রূপক সরকার, বালুরঘাট: প্রায় নয় বছর আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে ধূমপান ও তামাক সেবন নিষিদ্ধ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপরও জেলায় এখনও প্রকাশ্যে ধূমপান ও তামাক জাতীয় নেশা করা হয়। যদিও জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে মাঝেমধ্যে এনিয়ে অভিযান চালানো হয়। শনিবার বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে ধূমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন রুখতে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর, হাসপাতাল ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ অভিযানে আট জনকে জরিমানা করা হয়। আগামীদিনেও এমন অভিযান লাগাতার চলবে বলেই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।
অভিযোগ, প্রথম প্রথম স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের তরফে ধরপাকড় করা হলেও বর্তমানে শহর-জেলাজুড়ে প্রকাশ্যে তামাক সেবন ও ধূমপান করা হচ্ছে। এমনকি, বিভিন্ন স্কুলের সামনে বিক্রি হচ্ছে তামাকজাত সামগ্রী। শুধুমাত্র প্রকাশ্যে নয় বিভিন্ন জনবহুল এলাকা, সরকারি অফিস এমনকি হাসপাতাল চত্বরেও দেদারে চলছে ধূমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন। হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের রোগী ভর্তি থাকে। ধূমপানের গন্ধে তারা আরও অসুস্থ হতে পারে। হাসপাতাল চত্বরে ধূমপান বা তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন পুরোপুরি নিষিদ্ধ। তারপরও দেদারে ধূমপান ও নেশার জন্য তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন করছেন সাধারণ মানুষ। যা নজরে আসতেই এবার অভিযানে নামল প্রশাসন।
যদিও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগের তুলনায় এখন জেলার বিভিন্ন হাটেবাজারে তামাক সেবন অনেকটাই কমেছে৷ আগামীদিনে বেশ কয়েকটি স্কুলকে পুরোপুরি তামাক বর্জন স্কুল হিসেবে ঘোষণা করতে চলেছে প্রশাসন। এছাড়াও প্রকাশ্যে ধূমপান ও তামাক সেবন বন্ধ করতে জরিমানা করা হয় বলে জানানো হয়েছে।
বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দুবিকাশ বাগ জানান, ‘হাসপাতাল চত্বরে ধূমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন রুখতে অভিযান চালানো হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর, হাসপাতাল ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান চালানো হয় হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন এলাকায়। এই অভিযানে মোট আট জনকে জরিমানা করা হয়। যারা হাসপাতাল চত্বরে ধূমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন করছিল। হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ধূমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন রুখতে আগামীদিনেও এই কর্মসূচি লাগাতার চলবে।’