ফাঁসিদেওয়াঃ কে বা কারা ঘরের ছনের বেড়ায় লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছেন দিদির সুরক্ষা কবচের স্টিকার। কিন্তু, নানাবিধ সরকারি সুবিধা তো দূরস্থ, আবেদন করেও মেলেনি পাকা ঘর। ছনের বেড়ার ভাঙা ঘরে দিন কাটছে ষাটোর্ধ্ব ছিন্নত রায়ের। মাটির মেঝেতে মশারি খাটিয়ে শীতে অতিকষ্টে রাত্রিযাপন করে চলেছেন ফাঁসিদেওয়া ব্লকের শৈলানীজোতের এই বাসিন্দা। অভিযোগ, দীর্ঘ ৯ মাস মিলছে না বৃদ্ধ ভাতাও।
মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন বহুদিন। মৃত্যু হয়েছে স্ত্রীরও। ভাঙা ঘরে এই শীতে কুয়াশা ঢুকে ঘুম ভেঙে যায় বারবার। একদিকে, ছন দিয়ে ভাঙা সারান তো আরেকদিক খুলে যায়। মাঝেমধ্যে মেয়েও আসেন বাবাকে দেখতে, তাঁকেও মাটির মেঝেতে থাকতে হয়। সেই ঘরের বারান্দাতেই মাটির উনুনে খাবার রান্না হয় ছিন্নতের। কত মানুষই তো পাকা বাড়ি থাকতেও সরকারি ঘর পান বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু, ভুল করেও তিনি পাননি এমন একটি ঘর। শুধু ঘর নয় মেলেনি পানীয় জলও। আক্ষেপের সুরে বৃদ্ধ জানান, পাওয়ার মধ্যে মাসে র্যাশনের আটা আর ৩ কেজি চাল। বৃদ্ধের বক্তব্য, পাকা ঘরটা পেলে শেষ বয়সটা সেখানে একটু শান্তিতে ঘুমোতে পারতেন। ফাঁসিদেওয়ার বিডিও বিপ্লব বিশ্বাস জানান, আগের তালিকা ধরে ঘর দেওয়া হচ্ছে। ওনার নাম সে তালিকায় নেই। বৃদ্ধ ভাতা বন্ধ থাকার কথা নয়। ওই ব্যক্তি অফিসে এলে সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে।