Siliguri | দুষ্কৃতীদের নজরে শিলিগুড়ি শহর

Siliguri | দুষ্কৃতীদের নজরে শিলিগুড়ি শহর

শিক্ষা
Spread the love


শমিদীপ দত্ত, শিলিগুড়ি : ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতী গ্যাংয়ের নজর এখন শহর শিলিগুড়ির দিকে। এই শহর এখন সফট টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের কাছে। সোমবার রাতে উত্তরপ্রদেশের একটি গ্যাংকে পাকড়াও করার পর এই কথাটাই খোদ পুলিশ মহল থেকে শুরু করে শহরের আমজনতার মধ্যে ঘুরছে। প্রশ্নটা আরও জোরালো হয়েছে, গত সপ্তাহে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনায়।

ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নাকি গুয়াহাটির সূত্র পাওয়া গিয়েছে। সোমবার এব্যাপারে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের পুলিশ কমিশনার সি সুধাকরকে বলতে শোনা গেল, ‘সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছিল। ওই টিমটা গুয়াহাটি থেকে এসেছিল। আমরা গ্রেপ্তার করেছি।’ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বহিরাগত এই গ্যাংগুলোকে কীভাবে আটকানো সম্ভব? পুলিশ কমিশনার বলছেন, ‘আমরা সবসময় নজর রাখছি।’

সোমবার রাতে কাওয়াখালি এলাকায় গ্রেপ্তার হওয়া উত্তরপ্রদেশের এই গ্যাং সম্পর্কে একাধিক তথ্য পেয়েছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্যাংটি এর আগে পুরুলিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। সেখানেও ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করেছিল পুরুলিয়া পুলিশ। সম্প্রতি কয়েকদিন ধরে তারা রাঙ্গাপানি এলাকায় ঘরভাড়া নিয়ে হিলকার্ট রোডের সোনা লুট করা গ্যাংয়ের মতোই রেইকি করেছিল। তারপর প্ল্যান মোতাবেক সোমবার রাতে গাড়ি করে তারা মাটিগাড়া এলাকায় বড় ধরনের ডাকাতির জন্য যাচ্ছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।

পুলিশের আশঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে, অভিনব প্রক্রিয়ায় গত সপ্তাহে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনা। ছিনতাইয়ের একের পর এক অপারেশন দেখেই তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, ঘটনায় জড়িতরা এলাকার নয়। ছিনতাইয়ের পরই অভিযুক্তরা যেভাবে উধাও হয়ে গিয়েছিল, তাতে পুলিশের অনুমান ছিল, ওই দুষ্কৃতীরা হয়তো বিহারের।  চোপড়া থেকে শহরে একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে হয়তো বিহারে পালিয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে গত শনিবার ভক্তিনগর থানার সাদা পোশাকের টিম ও আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশের একটি টিম রাজগঞ্জের ইরানি বস্তি থেকে আরমান গোয়ালা নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেই নাকি গুয়াহাটি-যোগের হদিস পাওয়া যাচ্ছে। আরমান ও তার সঙ্গী এর আগেও দেশের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি গুয়াহাটিতে একই পদ্ধতিতে এক দিনে একাধিক ছিনতাই করে পালিয়ে গিয়েছে। গুয়াহাটিতে ধরা পড়ে তারা জেলও খাটে। এরপরই তাদের নজর পড়ে শিলিগুড়ির ওপর। এই অবস্থায় আরমানের সঙ্গীর খোঁজ করছে পুলিশ। তবে গোটা ঘটনায় একটা বিষয় পরিষ্কার, এই গ্যাংগুলি মূলত শহর সংলগ্ন এলাকায় ভাড়াবাড়িতে আস্তানা গেড়ে অপারেশনের ছক কষছে। কারণ, শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া নিয়ে হিলকার্ট রোডের সোনা লুটে অভিযুক্তরা রেইকি চালালেও শেষ অপারেশনের জন্য ঘাঁটি গেড়েছিল বিধাননগরে।

শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। অন্যদিকে, গত কয়েকমাসে শহরে চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনার অভিযোগও বিভিন্ন মহল থেকে করার প্রসঙ্গে, পুলিশ কমিশনারের জবাব, ‘ওটা তো ডেটা ছাড়া বলতে পারব না। দু’বছর আগে কত চুরি হয়েছে, গতবছর কত চুরি হয়েছে, আমরা সব নজরে রাখছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *