শিলিগুড়িঃ কসবা আইন কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডের পর রাজ্যের কলেজগুলিতে নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়াতে তৎপরতা শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। একই তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে শিলিগুড়ির কলেজগুলিতেও। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি কলেজেই বাড়ানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। কলেজের কোন অংশগুলিতে নজরদারি প্রয়োজন, তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সেই অংশগুলি সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নজরদারি বাড়ানোর সঙ্গে কসবাকাণ্ডের কোনও যোগ নেই বলেই কলেজগুলির তরফে দাবি করা হয়েছে।
শিলিগুড়ি কলেজ চত্বরটি অনেক বড়। তবে সেই তুলনায় কলেজে নেই পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা। কলেজে নজরদারির জন্য বিভিন্ন অংশে মোট ১৬টি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। হাতে গোনা সেই ক্যামেরা দিয়ে বিরাট বড় কলেজে পুরোপুরি নজরদারি সম্ভব হয়না বললেই চলে। খবর, সেই কারণে কলেজে নতুন করে ৬৪টি ক্যামেরা বসানো হবে। বিষয়টি নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ সুজিত ঘোষ বলেন, ‘আগেই কলেজে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রয়োজনীয় জায়গাগুলি বাছাই করে সেখানে দ্রুত ক্যামেরা বসানো হবে। কলেজের বেশ কয়েকটি জায়গা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, শিলিগুড়ির সূর্য সেন কলেজে আগে থেকেই ১৪৮টি সিসি ক্যামেরা বসিয়ে গোটা চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে। কলেজের ক্লাসেও ক্যামেরা বসানো রয়েছে। কিন্তু তারপরও কলেজের কোনও অংশ নজরদারির বাইরে রয়েছে কিনা সেই বিষয়টি কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছেন। বিষয়টি নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ প্রণবকুমার মিশ্র জানান, কলেজের প্রয়োজন মতো আর কিছু ক্যামেরা বসানো হতে পারে।’ পাশাপাশি শিলিগুড়ির মুন্সী প্রেমচাঁদ কলেজ নতুন করে ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ রুখতে কড়াকড়ি করা হচ্ছে নজরদারি।