Siliguri | ‘আমি আর বাঁচতে চাই না, দাদার বিয়েটা করিয়ে দিও’, শিবমের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা     

Siliguri | ‘আমি আর বাঁচতে চাই না, দাদার বিয়েটা করিয়ে দিও’, শিবমের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা     

শিক্ষা
Spread the love


শিলিগুড়িঃ ফাঁসিদেওয়ার ঝমকলাল জোতের তিস্তা ক্যানালে বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হয় পেশায় সবজি ব্যবসায়ী শিবম পালিতের দেহ। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ আনল মৃতের পরিবার। অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে শিবমের স্ত্রী প্রিয়া প্রামাণিকের পরিবারের বিরুদ্ধে। শিবমের পরিবারের অভিযোগ, বছর খানেক আগে শিবমের বিয়ে হলেও গত কাল অর্থাৎ ২০ ফেব্রুয়ারি দুই পরিবারের সম্মতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছিল। যদিও বিয়ের পর থেকে শিবমের সঙ্গে স্ত্রী প্রিয়ার অশান্তি লেগেই থাকতো বলে জানিয়েছে পরিবারের লোকেরা। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন এলাকায় বাড়ি শিবম পালিতের। চলতি মাসের ১৭ তারিখ থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় শিবম। পরের দিন ফুলবাড়িতে তিস্তা ক্যানেলের সেতুর ওপর থেকে উদ্ধার হয় শিবমের নম্বর বিহীন স্কুটার। এরপর থেকেই শুরু হয় খোঁজ। গতকাল সন্ধ্যায় উদ্ধার হয় শিবমের দেহ। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ে উপলক্ষ্যে শিবম তাঁর দাদুর বাড়ি থেকে ৫০হাজার টাকা নিয়ে আসার পর থেকেই স্ত্রী প্রিয়া লেহেঙ্গার দাবি করেছিল। যদিও সেটা দিতে না পারার কথা বলার পরেই দুই জনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। এমনকি প্রায়দিনই স্ত্রীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শিবম বন্ধুদের বাড়িতে আশ্রয় নিত বলে জানিয়েছেন শিবমের আত্মীয় প্রফুল্ল ভৌমিক।

প্রফুল্লবাবু জানান, নিরুদ্দেশ হওয়ার আধঘন্টা আগে ১৭ তারিখ রাতে শিবম ফোন করেছিলেন তাঁর মাকে। সেই ফোনে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা বলে ফোন কেটে দেন তিনি। শিবমের পরিবারের অভিযোগ, ‘শিবমকে এরপর প্রিয়ার পরিবার আটকে রেখে দিয়েছিল। পরে তাঁকে মেরে বৃহস্পতিবার তিস্তা ক্যানেলে ফেলে দিয়েছে।’

মৃতের মা জানান, তাঁর ছেলের বিয়ে প্রায় ১ বছর আগে হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে সেটা হওয়ার কথা ছিল ২০ ফেব্রুয়ারি। শিবমের দাদারও বিয়ের তারিখ ছিল ৩ মার্চ। দুই ভাইয়ের বিয়ের বৌভাত মার্চের ৫ তারিখ হওয়ার কথা ছিল। তাঁর আগেই সব শেষ হয়ে গেল। তিনি বলেন, ‘বিয়ের কার্ড বিলিতেই ছেলে ব্যস্ত ছিল। ১৭ তারিখ রাত সাড়ে নয়টার দিকে হঠাৎ করেই ছেলে ফোন করে আমায় বলে, মা আমি  বিয়েটা করব না। আমি আর বাঁচতে চাই না। দাদার বিয়েটা করিয়ে দিও। এরপরই ফোন বন্ধ হয়ে যায়।’

এদিকে, নিখোঁজ হওয়ার ঘন্টা খানের আগে শিবম তাঁকে কার্ড দিতে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বন্ধু বাপি দাস। এদিন সে অবাক হয়ে বলছিল, ‘আমি যে গ্যারাজে কাজ করি, সেখানে এসে শিবম নিমন্ত্রণ করে যায়। অনেক গল্পও করেছিল।’

এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে ফাঁসিদেওয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *