সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুদের হাতে স্মার্টফোন মানে হইহই কাণ্ড। প্রথমেই মনে হয় যেন ক্ষতি হবে বাড়ির ছোট্ট সদস্যের। আর দুশ্চিন্তা হবে না-ই বা কেন? চিকিৎসকরা বলেন, মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিশুর চোখের ক্ষতি হতে পারে। আবার তেমনই তার মানসিক বিকাশ বাধা পেতে পারে। তাই যতটা সম্ভব তাকে মোবাইল থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হয়। তবে শুধু ক্ষতি না হয়, সঠিক ব্যবহারে মোবাইলই হয়ে উঠতে পারে খুদের প্রকৃত বন্ধু। জেনে নিন তা কীভাবে সম্ভব।
* ধরুন আপনার সন্তান কোনও জটিল রোগে ভুগছে। যাতে সে বিছানা ছেড়ে হয়তো উঠতে পারছে না। তার ফলে মানসিকভাবেও সে বেশ বিপর্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে খুদেকে গল্পের বই পড়তে দিন। তাতে সে একঘেয়ে হয়ে যেতে পারে। তাই চিকিৎসকদের মতে, এই সময়ে অল্পবিস্তর স্মার্টফোন দিতে পারেন তাকে। তবে খেয়াল রাখুন সে কী দেখছে। কার্টুন দেখাতে পারেন, আবার ভালো গান শোনাতে পারেন। কিংবা এমন কিছু অনলাইনে দেখাতে পারেন যাতে তার জ্ঞান বাড়বে।
* ভুলেও খুদেকে রিলস বা শর্টস দেখাবেন না। তাতে তার ধৈর্য কমতে পারে। সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করতে দেবেন না। সৃজনশীলতা বাড়ায় এমন কিছু দেখতে দিন। তাতে খুদের নিজে থেকে কিছু করার আগ্রহ তৈরি হবে।
* যে জিনিস থেকে খুদেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হয়, তার প্রতি আকর্ষণ বাড়ে। তাই মোবাইলের প্রতি তাদের অদম্য আকর্ষণ। তবে আপনি নিজে হাতে মোবাইল তুলে দেন, তা সে খুশি হবে। হাতে স্মার্টফোন তুলে দেওয়ার সময় মেপে দিন। তাতে সে সময়ানুবর্তিতা শিখবে।
* সন্তানকে বোঝান একটি নির্দিষ্ট স্মার্টফোন দেখার পর তাকে অন্য কাজও করতে হবে। যেমন – খেলতে হবে কিংবা পড়তে হবে। অথবা রং-তুলি হাতে আঁকতে বসতে হবে। দেখবেন সে শর্তে রাজি হবে। এবং সহজেই আপনার কথা শুনে নির্দিষ্ট সময় পর মোবাইল দূরে সরিয়ে অন্যান্য কাজ করছে।* সন্তান ছোট হওয়ায় আমাদের তার উপর নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা থাকে। মনে রাখবেন সময় বদলেছে। ছোট থেকে জোর করে চাপাতে থাকলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই তাকে বুঝিয়ে বলুন। নিশ্চয়ই সময় মেপে স্মার্টফোন ব্যবহার করবে। তাতে ক্ষতির চেয়ে লাভই হবে বেশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন