Scorching air balloon trip | পুজোর আগেই পাহাড়ে হট এয়ার বেলুন রাইড

Scorching air balloon trip | পুজোর আগেই পাহাড়ে হট এয়ার বেলুন রাইড

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


তমালিকা দে, শিলিগুড়ি : বর্ষা হোক বা শীত অথবা বসন্ত, পাহাড় সারাবছরই ভ্রমণপ্রেমীদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। সেই অমোঘ টান উপেক্ষা করা বড্ড মুশকিল। সেজন্য বছরভর দার্জিলিং, মিরিক, কালিম্পং, কার্সিয়াংয়ে পর্যটকের আনাগোনা লেগেই থাকে। তবে দিন বদলেছে, বদলাচ্ছে ভ্রমণের সংজ্ঞা। অনেকেই এখন বেড়াতে এসে চান কিছু রোমাঞ্চকর মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে। যে কারণে পাহাড়ে সূচনা হয়েছে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের। আপাতত র‌াফটিং, প্যারাগ্লাইডিং চালু থাকলেও আগামীতে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্সিয়াংয়ে হট এয়ার বেলুন রাইডের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জিটিএ’র তরফে। সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে পুজোর আগেই কালিম্পং ও কার্সিয়াংয়ে এই রাইড চালু হয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যে এর সফল ট্রায়াল হয়েছে।

জয়পুর, লোনাভালা, আগ্রা সহ দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন পর্যটনস্থলে হট এয়ার বেলুনের বন্দোবস্ত রয়েছে। এবার ডেলো ও দুধিয়াতেও এই রাইডের আনন্দ নিতে পারবেন পর্যটকরা। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের অ্যাডভেঞ্চারের প্রতি আগ্রহ দেখে জিটিএ’র তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাসখানেক আগে মিরিকেও হট এয়ার বেলুন রাইডের সফল ট্রায়াল হয়েছে।

জিটিএ’র জনসংযোগ আধিকারিক এসপি শর্মা বলেছেন, ‘দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্সিয়াংয়ে হট এয়ার বেলুন রাইড চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কালিম্পং ও কার্সিয়াংয়ে ট্রায়াল সফল হয়েছে। রাইড চালু হলে অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী বহু পর্যটক এখানে আসবেন বলে আমাদের আশা।’

জিটিএ কর্তারা মনে করছেন, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের সূত্র ধরে অনেকটা চাঙ্গা হবে স্থানীয় অর্থনীতি। এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে স্থানীয় তরুণদের। এতে অনেকের কর্মসংস্থান হবে। রোহিণী প্যারাগ্লাইডিং অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নীরজ কুমার বলেছেন, ‘অ্যাডভেঞ্চার রাইডে অনেকের আগ্রহ রয়েছে। বহু পর্যটক পাহাড়ে এসে সেসব উপভোগ করেন। নানা ধরনের রাইড বা স্পোর্টস পাহাড়ে চালু করা হলে স্থানীয় তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’ পুজোয় যাতে দেশ ও বিদেশের পর্যটকেরা বেড়াতে এসে বেলুন রাইডের আনন্দ নিতে পারেন সেজন্য পুজোর আগে তা চালুর চেষ্টা চালাচ্ছে জিটিএ। তবে টিকিটের দাম কত হবে, সে ব্যাপারে এখন কিছু ঠিক হয়নি।

অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস ট্যুরিজমের সঙ্গে যুক্ত অর্ণব মণ্ডল জিটিএ’র এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘এতে পাহাড়ের পর্যটন আরও বিকশিত হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *