সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরোয়া ক্রিকেটে বাজিমাত করেও ইংল্যান্ড সফরে ডাক পাননি সরফরাজ খান। মুম্বইয়ের এই তরুণ ক্রিকেটারের দক্ষতা নিয়ে কোনও সন্দেহ না থাকলেও তাঁর ফিটনেস নিয়েছিল একাধিক অভিযোগ। তবে সকলকে চমকে দিয়ে দু’মাসের জন্য ওজন কমানোর ট্রেনিং নেন চুপচাপ। কমিয়ে ফেলে ১৭ কেজি ওজন।
ওয়েট ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট ডাঃ ঋষি মালহোত্রা জানান, খুব কম সময়ে ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে। যদি সঠিক নিয়ম মেনে না চলা হয় সেক্ষেত্রে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়তে পারে।
কম সময়ে মাত্রাতিরিক্ত ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ঝুঁকি দেখা দেয়। খুব সতর্কতার সঙ্গে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে না চললে ঘটতে পারে বিপদ। জানাচ্ছেন ডাঃ ঋষি মালহোত্রা। আর কী বলছেন তিনি? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
(১) দ্রুত ওজন কমানোর জন্য ওয়ার্কআউট শুরু করার আগে একজন ডায়েটিশিয়ান বা ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ হঠাৎ খাদ্যাভাসের পরিবির্তন বা কঠোর ব্যায়ামের মধ্যে থাকা অনেক সময় শরীরের বিপাকীয় হার, হরমোনের ভারসাম্য, এমনকী স্বাস্থ্যকেও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
(২) দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে শরীরে ফ্যাটের সঙ্গে পেশিও কমতে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার খাদ্যতালিকায় উচ্চ পুষ্টির খাবার না থাকলে কঠিন ব্যায়ামে শরীর থেকে পেশিও দুর্বল হতে শুরু করবে। এর ফলে স্বাস্থ্যহানি ঘটার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
(৩) অত্যাধিক ব্যায়াম করার সঙ্গে সঙ্গে সঠিক খাদ্যাভাস বজায় রাখা প্রয়োজন। নাহলে ডিহাইড্রেশন বা ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতায় ভোগার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
(৪) ওজন কমানোর তালে না খেয়ে থাকবেন না। কিংবা হঠাৎ করে খাবারের পরিমান কমিয়ে ফেলবেন না। বরং পুষ্টিকর খাবারকে এই সময় প্রাধান্য দিন। অন্যথায় হজমের সমস্যা, চুল পড়া ও মানসিক একঘেয়েমিও দেখা দিতে পারে।
(৫) দেহের ওজন তাৎক্ষণিক ভাবে অত্যাধিক কমে গেলে তা মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলতে সক্ষম। হঠাৎ করে মানসিক চাপ কিংবা উদ্বেগ দেখা দিতে পারে। তাই, এক্ষেত্রে ডাঃ মালহোত্রা মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
(৬) ওজন কমিয়ে ফেলার পর ভুলেও আবার পূর্বের অভ্যাসে ফিরে যাবেন না। ফিটনেস বজায় রাখার জন্য রুটিন মেনে চলুন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন