উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার সকাল থেকে শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে সংবাদ মাধ্যমের আনাগোনা। বেলা যত বাড়ছে ভিড় যেন ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। এক বৃদ্ধার সাক্ষাৎ পেতে এত ভিড়! কে তিনি? তাঁর সাক্ষাৎ পেতে কেন মরিয়া সংবাদ মাধ্যম? তিনি আর কেউ নন, তিনি আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের (Sanjay Roy) মা। ছেলেকে আজ শিয়ালদা আদালত (Court docket) আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে মা কী প্রতিক্রিয়া দেন, তা জানতেই আগ্রহী ছিলেন সকলে। কিন্তু মুখ খোলা তো দূর, সবটা শুনেও নিরুত্তাপ সঞ্জয়ের মা।
এদিন সকাল থেকেই ৫৫ বি শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে সঞ্জয় রায়ের বাড়ির গলি ছিল কার্যত থমথমে। ছেলের জন্য রায় ঘোষণা করবে আদালত, তা জেনেও মা নিরুত্তাপ ছিলেন। বাড়ির দরজা সকাল থেকেই বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা খোলেন নি। ছেলের রায়দানের পরও তিনি গৃহবন্দি হয়েই কাটালেন। মায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে খালি হাতেই ফিরতে হল সংবাদ মাধ্যমকে।
মা চুপ থাকলেও, এই ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন সঞ্জয়ের পাড়ার লোকেরা। তাঁরা বলেন, ‘তদন্তে (RG Kar Case) অনেক ফাঁক রয়েছে। ছেলেটা প্রাণে তো বেঁচে গেল। এই ঘটনায় সঞ্জয়ের নাম উঠে এসেছে বটে, কিন্তু এই কাজ সঞ্জয়ের একার পক্ষে সম্ভব নয়। কখনও কোনও মহিলার সঙ্গে তাঁকে অসঙ্গত আচরণ করতে দেখা যায়নি তাকে। সঞ্জয়ের মা মানসিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন। মাঝেমধ্যেই তিনি অসংলগ্ন কথা বলেন। আগে বাড়িতে মায়ের সঙ্গেই থাকতেন সঞ্জয়। আরজি করের ঘটনার পর থেকে তাঁর মা একা থাকছেন। সঞ্জয়ের তিন দিদিও রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা কেউ বাড়িতে আসেন না।’