সামসী: বাবা চাষাবাদ করেন। তা দিয়েই কোনওমতে সংসার চলে আসিফদের। অভাবকে সঙ্গী করেই সকলকে অবাক করে মাধ্যমিকের (Madhayamik Examination 2024) মেধা তালিকায় যুগ্মভাবে অষ্টম হল সামসীর আসিফ মেহেবুব। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। প্রান্তিক চাষির ছেলের এমন সাফল্যে খুশির জোয়ারে ভাসছে গোটা গ্রাম।
রতুয়া-২ (Ratuya) ব্লকের শ্রীপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রামে প্রত্যন্ত এলাকায় আসিফ মেহবুবের বাড়ি। আসিফ মেহবুবের বাবা আনুয়ারুল হক পেশায় কৃষক। সংসারের প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে আবার পরিযায়ী শ্রমিকেরও কাজ করেন তিনি। আসিফরা তিন ভাই। বড় দাদা চাঁচল কলেজে পড়াশোনা করে। আসিফ মেজো, আর ছোট ভাইয়ের বয়স মাত্র ৪। কালিয়াচক আবাসিক মিশন স্কুলে পড়াশুনা করে আসিফ। পড়াশোনার ফাঁকে মাঝে মধ্যেই বাবার সঙ্গে চাষের কাজেও হাত লাগাতে হয় তাকে। এহেন পরিস্থিতিতে এদিন মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পর নিজের নাম মেধা তালিকার অষ্টম স্থানে দেখতে পেয়ে ভীষণ খুশি হয় আসিফ। পাশাপাশি ছেলের রেজাল্ট দেখে খুশিতে ফেটে পড়ে বাবা-মাও। বাংলায়-৯৮, ইংরেজি-৯৭, অংক-১০০, জীবন বিজ্ঞান-১০০, ভৌত বিজ্ঞান-৯৭, ভূগোল-৯৮ এবং ইতিহাসে-৯৮ নম্বর পেয়েছে সে। এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই সকাল থেকে আসিফের বাড়িতে ভিড় করেন গ্রামবাসীরাও।
বিরাট কোহলির ভক্ত মেধাবী আসিফ, ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়। ডাক্তার হয়ে সমাজের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছে রয়েছে তার। তবে এতবড় সাফল্যের জন্য বাবা-মায়ের অবদান স্বীকার করতে ভোলেনি আসিফ। এদিকে ছেলের সাফল্যে বাবা আনুয়ারুল হক বলেন, ‘আসিফ দিনরাত এক করে পড়াশোনা করত। আগামীতে ও ডাক্তার হতে চায়। তবে আমার যে আর্থিক পরিস্থিতি তাতে যদি কেউ আর্থিক সাহায্য করে তাহলে ওর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সুবিধে হয়।’