উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ অবশেষে দোষী সাব্যস্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক সলমন রুশদির উপর হামলার মূল চক্রী হাদি মাতার। হাদিকে দোষী সাব্যস্ত করল নিউ ইয়র্কের আদালত। মনে করা হচ্ছে হাদিকে ন্যূনতম ৩০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিতে পারে আদালত। আগামী ২৩ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের আদালতে হাদির সাজা ঘোষণা।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক সলমন রুশদির উপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হাদি মাতারের বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে আমেরিকার আদালতে। যদিও এখনও সাজা ঘোষণা করেনি আদালত। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে আমেরিকার একটি অনুষ্ঠানে রুশদির উপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠান মঞ্চে উঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রুশদিকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েন বুকার জয়ী লেখক। এই ঘটনায় রুশদি প্রাণে বেঁচে গেলেও অকেজো হয়ে গিয়েছে একটি হাত ও একটি চোখ। এই হামলার ঘটনায় আমেরিকার পুলিশ গ্রেপ্তার করে মূল অভিযুক্ত হাদি মাতার। দীর্ঘদিন তিনি বন্দি থাকেন আমেরিকার একটি আদালতে। চলতি মাসে হাদির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় নিউ ইয়র্কের একটি কাউন্টি আদালতে। দু’সপ্তাহ ধরে চলে বিচারপ্রক্রিয়া। অবশেষে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আমেরিকার আইন অনুযায়ী, এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে ৩০ বছর বা বেশি জেল হতে পারে।
বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সলমন রুশদি জানান, আচমকা এক যুবক ছুটে এসে তাঁর উপর হামলা চালায়। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন তাঁকে ঘুষি মারা হয়েছে। পরে বুঝতে পারেন তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মোট ১৫ বার তাঁকে কোপ মারা হয়েছে।
১৯৮৮ সালে ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাস লিখেছিলেন রুশদি। এই বিতর্কিত উপন্যাস লেখার পর থেকে অজস্র বার খুনের হুমকি পেয়েছিলেন বুকার জয়ী এই ব্রিটিশ লেখক। ভয়ে প্রায় ৯ বছর তিনি আত্মগোপন করেছিলেন। পরবর্তীতে প্রকাশ্যে আসেন নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। উপন্যাস লেখার ৩৫ বছর পর লেখকের উপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে।