রিয়াধ: বয়সকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক গোল করে চলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সোমবার রাতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আল ওয়াসলের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জয়ের রাতে আল নাসেরের হয়ে জোড়া গোল করলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে একটি গোল করেন পেনাল্টি থেকে। অপরটি ৭৮ মিনিটে। সাদিও মানের ক্রস জোড়াল হেডে জালে জড়িয়ে নতুন সেলিব্রেশনে মাতেন রোনাল্ডো।
এদিকে, বুধবার ৪০তম জন্মদিনের আগে নতুন এক রহস্য সামনে এনেছেন সিআর সেভেন। তাঁর কেরিয়ার শুরু স্পোর্টিং লিসবন থেকে। এরপর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড হয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ২০০৩ সালে রোনাল্ডো যদি লাল ম্যাঞ্চেস্টারে সই না করতেন! হয়তো বিশ্ব ফুটবলের অনেক ইতিহাসই লেখা হত অন্যভাবে। হয়তো গত দুই দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় লিওনেল মেসি-রোনাল্ডোর দ্বৈরথের স্বাদই পেতেন না ফুটবলপ্রেমীরা। তেমন সম্ভাবনা তৈরিও হয়েছিল।
তখন ইউনাইটেডে না গিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো যদি সই করতেন বার্সেলোনায়? সেই প্রস্তাবও গিয়েছিল। যে কোনও কারণেই হোক কথাবার্তাটা সইপর্ব পর্যন্ত এগোয়নি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডো বলেছেন, ‘তখন স্পোর্টিং লিসবনে খেলছি। একাধিক ক্লাবের প্রস্তাব আসছিল আমার কাছে। তাদের মধ্যে ছিল বার্সেলোনাও। সই করানোর জন্য বার্সার এক প্রতিনিধি আমার কাছে আসেন। যে কোনও কারণেই হোক সেটা হয়নি। পরের মরশুমেও হয়তো তাদের পরিকল্পনায় ছিলাম আমি। তবে তার আগেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড আমাকে সই করিয়ে নেয়।’
তখন রোনাল্ডো লাল ম্যাঞ্চেস্টারের বদলে যদি বেছে নিতেন কাতালান ক্লাবটিকে! হয়তো জুটি বাঁধতেন মেসির সঙ্গে। রিয়াল মাদ্রিদের না হয়ে হতে পারতেন বার্সেলোনার কিংবদন্তি। যদিও তা হয়নি বলে কোনও আক্ষেপ নেই পর্তুগিজ মহাতারকার। বলেছেন, ‘ন্যু ক্যাম্পে গোল করা খুবই উপভোগ করতাম আমি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মাঠে গোল করা অন্যরকম অনুভূতি।’