দুবাই: টুর্নামেন্টের সেরা প্লেয়ারের তকমা। সর্বাধিক রানের নজিরও তাঁর মুকুটে। যদিও ফাইনাল যুদ্ধে পরাজিতদের দলে। যা মনে নিতে পারছেন না রাচিন রবীন্দ্র। ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিউজিল্যান্ডের তরুণ অলরাউন্ডার চেয়েছিলেন রোহিত শর্মা ব্রিগেডের পথে ‘কাঁটা’ বিছিয়ে দিতে।
ফাইনালের দ্বৈরথে শুরুটা দারুণভাবে করেও উত্তেজক ম্যাচে ট্রফি হাতছাড়া। যা যন্ত্রণা দিচ্ছে রাচিনকে। ম্যাচের পর বলেছেন, ‘ফাইনালে হার এবং টুর্নামেন্ট সেরার শিরোপা–টক-ঝাল অনুভূতি। ট্রফিটা জিততে পারলে দারুণ হত। আসলে ক্রিকেট কখনও কখনও এমন নির্মম হয়।’
হারলেও রাচিনের দাবি সেয়ানে সেয়ানে টক্কর হয়েছে। ভারতকে এক ইঞ্চি ছাড়েননি তাঁরা। বলেছেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল ফাইনালে ওঠা। প্রতিটি ম্যাচে দলগত ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছি। ভারতও দারুণ খেলেছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ওদের অভিনন্দন।’
বোলিংয়ে পরিশ্রম করছেন। রাচিন বলেছেন, ‘বোলিং করতে ভালোবাসি। মিচেল স্যান্টনার মজা করে বলে, আমি নেটে বোলিংয়ে নাকি সেভাবে মন দিচ্ছি না। বোলিংয়ে নজর দিতে হবে এবার। আমাদের সম্পদ টিমগেম। সিনিয়ার হোক বা জুনিয়ার, প্রত্যেকের নিজের দায়িত্ব বোঝে।’
হারলেও দলকে নিয়ে গর্বিত অধিনায়ক স্যান্টনার। বলেছেন, ‘দল হিসেবে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। প্রত্যেকেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে যোগ্য দলের কাছেই হেরেছি আমরা। ওরা খুব ভালো বল করেছে। ভারতীয় স্পিনারদের প্রশংসা করতেই হয়। প্রত্যেকেই বিশ্বমানের বোলার। পাওয়ার প্লে-তে পরপর উইকেট হারানো আমাদের বিপক্ষে গিয়েছে। ২০-২৫ রান কম করেছি আমরা।’
রোহিতকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন। রাখঢাক না করেই বলে দিচ্ছেন রোহিতের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কাছেই হার মেনেছেন তাঁরা। ঝুঁকি থাকলেও নিজের স্বাভাবিক ব্যাটিং থেকে সরে আসেনি রোহিত। রোহিতের দুর্দান্ত শুরুর হাত ধরে ওপেনিং জুটিতে ভারতের সেঞ্চুরি পারের পরই স্যান্টনার বুঝে যান, ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক বলেছেন, ‘এই উইকেটে বল প্রতি রান তোলা সহজ নয়। কিন্তু রোহিত শর্মা, শুভমান গিলরা সেটাই করে দেখাল। টুর্নামেন্টের আগে যদি রোহিতকে জিজ্ঞাসা করা হত, তাহলে ও বলত ফাইনালে সবথেকে বেশি রান করতে চায়। ওর ব্যাটিং বোলারদের মনে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করে দিয়েছিল। ভালো বলেও ছক্কা মেরেছে। ওর ব্যাটিংই হারিয়ে দিল। ১১ জন নয়, একজনের কাছে হেরেছি আমরা।’
রোহিতকে ফেরানোর পর অবশ্য ম্যাচে ফিরে আসে নিউজিল্যান্ড। লোকেশ রাহুল, শ্রেয়স আইয়ার, হার্দিক পান্ডিয়ারা সামাল না দিলে যে কোনও কিছুই ঘটতে পারত। স্যান্টনার বলেছেন, ‘বিশ্বাস ছিল, যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচ ঘুরে যেতে পারে। সেটাই হয়েছিল। রাচিনও বল হাতে নজর কাড়ল। অল্প বয়সেই পরিণত ক্রিকেট উপহার দিচ্ছে।’