উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) সঞ্জয় রায়ের (Sanjay Roy) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। সোমবার শিয়ালদা আদালতের (Sealdah Courtroom) বিচারক অনির্বান দাস এই মামলায় সাজা শুনিয়েছেন। আরজি কর মামলায় শনিবার সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত।
২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট। আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য তথা দেশ। আন্দোলন শুধু দেশের মাটিতেই নয়, ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বে। ন্যায়বিচারের দাবিতে পথে নামেন জুনিয়ার ডাক্তার সহ সাধারণ মানুষ। সবার একটাই দাবি ছিল, তরুণী চিকিৎসকের এই পরিণতির জন্য যে বা যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি হোক।
ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তবে এই প্রশ্নও বারবার উঠছিল এই ঘটনায় শুধু একজন থাকতে পারে? এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেডিকেলে ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ সামনে আসে। আরজি করের বিচার চেয়ে এবং নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনে নামেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। আরজি করের ঘটনার ৫ মাস ১১ দিন পার। শনিবার সেই মামলায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদা আদালত। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের পর মৃত্যু) এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাকে। এদিন সাজা ঘোষণা করল আদালত (Courtroom)। এদিন সকালে সঞ্জয়কে আদালতে নিয়ে আসা হয়। ২১০ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সঞ্জয়কে নিজের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে সঞ্জয় বারবার বলে, ধর্ষণ-খুন সে করেনি। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ফের রুদ্রাক্ষের মালার প্রসঙ্গ তুলে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি ধর্ষণ করলে, এত কিছু নষ্ট হল, আমার গলার রুদ্রাক্ষের মালা নষ্ট হত না? আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’ অবশেষে এই মামলায় সাজা শোনাল আদালত।