Recruitment rip-off | গণ আত্মাহুতির হুমকি মালদার শিক্ষকদের

Recruitment rip-off | গণ আত্মাহুতির হুমকি মালদার শিক্ষকদের

ভিডিও/VIDEO
Spread the love


সৌরভ ঘোষ, মালদা: পথ একটা। সেই পথ হল যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা দ্রুত প্রকাশ করা। না হলে গণআত্মাহুতির বার্তা দিলেন মালদার শিক্ষক প্রতাপ সাহা, পঙ্কজ রায়, মনতোষ সাহারা।

যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকেরা মঙ্গলবার কলকাতার এসএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান। সেই বিক্ষোভে শামিল ছিলেন মালদার শিক্ষক প্রতাপ সাহা, পঙ্কজ রায়েরা। তাঁদের দাবি, স্থায়ী নিয়োগই একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ। কেউ সদ্য বিয়ে করেছেন, কেউবা গড়তে চেয়েছিলেন স্বপ্নের বাড়ি। কারও মা-বাবার চিকিৎসা চলছে। এই পরিস্থিতিতে অস্থায়ী চাকরি তাঁদের কাছে অপমান ছাড়া কিছুই নয়।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু চাকরিহারা শিক্ষকদের স্কুলে ফেরার বার্তা দেন। আশ্বাস দেন বেতনের। সেই বার্তা দেওয়ার পর কলকাতার এসএসসি ভবনে বিক্ষোভের আঁচ আরও ঝাঁঝালো হয়। একসময় এসএসসি ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। চেয়ারম্যানকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়, নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে যে তালিকা জমা দিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য। তবে এসএসসি নিজে সেই তালিকা কেন প্রকাশ করছে না?

মালদার আন্দোলনকারীদের কথায়, সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই-এর দেওয়া যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা গ্রহণ করলেও এসএসসি এখনও তা মানতে চাইছে না। ওই তালিকায় তাদের নাম থাকার পরেও তাঁদের অস্থায়ীভাবে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হচ্ছে। এটা কোনওমতেই তারা মেনে নিতে পারছেন না। মানবেনও না।

প্রতাপ সাহার কথায়, ‘মালদা থেকে প্রায় তিনশো যোগ্য প্রার্থী আজ এখানে এসেছেন। কেবলমাত্র ন্যায়েরআশায় নাওয়া-খাওয়া ভুলে রাজপথে নেমেছি। এসএসসি তাদের কারচুপি ঢাকতেই তালিকা প্রকাশে গড়িমসি করছে। আমরা যোগ্য হয়েও আজ অনিশ্চয়তায় ভুগছি। অস্থায়ী নয়, আমরা স্থায়ী নিয়োগ চাই’।  একই বক্তব্য পঙ্কজ রায়েরও। পঙ্কজ বলেন, ‘বছরের পর বছর লড়াইয়ের পর আদালত আমাদের ‘যোগ্য’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাহলে সরকার, এসএসসি কেন তালিকা প্রকাশে দেরি করছে? কেন বারবার আমাদের সঙ্গে প্রহসন চলছে?’

আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, যদি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশ না করা হয়, তবে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। দরকারে জীবন বলি দিয়ে নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠা করবেন। এখন দেখার, কত দ্রুত এই পরিস্থিতির নিষ্পত্তি হয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে স্থায়ী নিয়োগের পথ খোলে।

এই প্রতিবাদ এখন শুধু চাকরি পাওয়ার লড়াই নয়, বরং ন্যায়ের জন্য একটা প্রজন্মের আর্তনাদ। প্রশাসন আর এসএসসির উপর চাপ বাড়ছে। তালিকা না প্রকাশ করলে পরিস্থিতি যে আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, তার আভাস এদিন পাওয়া গিয়েছে। এখন দেখার, সরকার কী পদক্ষেপ করে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *