উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আদি অনন্তকাল থেকে অষ্টমীর সকাল মানেই লুচি আর আলুর দম, না হলে লুচির সঙ্গে বেগুন ভাজা। এবারে যদি প্রথাটা একটু ভাঙা যায়, কেমন হয় বলুন তো? দেখুন এমনিতেই আমরা সকলেই স্বাস্থ্য সচেতন। তাই বলে পুজোর দিনেও একটু মনভরে খাব না, এ আবার হয় নাকি। তাহলে আজ আপানদের জন্য রাখলাম রাধাবল্লভীর রেসিপি। সঙ্গে অবশ্য শুকনো শুকনো করে আলুর দম আর পচ্ছন্দের মিষ্টি রাখতে ভুলবেন না। জানি এসব খেলে ওজনটা একটু বাড়তে পারে, তবে বছরের এই চারটে দিন তো মন ভরে, পেট পুরে খাওয়ার সময়। তাহলে অষ্টমীর জলখাবার জমে যাক রাধাবল্লভীতে।
কী কী লাগবে? বিউলির ডাল: ২ কাপ জল: আধ কাপ আদাবাটা: আধ চা চামচ, কাঁচালঙ্কা বাটা: আধ চা চামচ, নুন: পরিমাণমতো, মৌরি: ১ চা চামচ, সাদা তেল: ভাজার জন্য, কালো জিরে: আধ চা চামচ, হিং: এক চিমটে, চিনি: আধ চা চামচ, ময়দা: ৪ কাপ
কী ভাবে বানাবেন? প্রথমে পুর তৈরি করতে হবে। তার জন্য আগের রাত থেকে বিউলির ডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন ওই ভিজিয়ে রাখা ডাল মিক্সিতে বেটে নিন। খুব মিহি করে বাটার প্রয়োজন নেই। এবার কড়াইতে সাদা তেল দিন। তার মধ্যে দিয়ে দিন সামান্য কালোজিরে আর হিং। একটু নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিন আদা, কাঁচালঙ্কা বাটা। হালকা নাড়াচাড়া করে মৌরি গুঁড়ো দিয়ে দিন। তেল ছাড়তে আরম্ভ করলে তার পর দিন ডালবাটা। প্রয়োজনে সামান্য জল দেওয়া যেতে পারে। ভালো করে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। জল শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সমানে নেড়ে যেতে হবে। হয়ে গেলে থালায় ঢেলে ঠাণ্ডা করতে দিতে হবে। এবার ময়দা মাখার পালা।বড় একটি পাত্রে ময়দা, নুন, চিনি, মৌরি গুঁড়ো, সামান্য আদা এবং কাঁচালঙ্কা বাটা— ভালো করে মিশিয়ে নিন।জল দিয়ে ময়দা মেখে নিন। খুব পাতলা করে মাখবেন না। কারণ, ময়দা মেখে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে।এবার ময়দা থেকে লেচি কেটে নিন। তারপর খোলের মতো করে ভিতরে ডালের পুর ভরে ফেলুন। এক এক করে সব লেচির ভিতর পুর ভরা হয়ে গেলে তেল মাখিয়ে রেখে দিন। তারপর হালকা হাতে বেলে নিন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন ডালের পুর যেন বেরিয়ে না আসে। কড়াইয়ে সাদা তেল দিন। তেল গরম হলে আঁচ একেবারে কমিয়ে ফেলুন। তারপর এক এক করে রাধাবল্লভী ভেজে তুলুন।