বিশ্বজিৎ সরকার, রায়গঞ্জ: রফা না হওয়ায় এক তরুণের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল রায়গঞ্জের (Raiganj) প্রত্যন্ত গ্রামে। সোমবার সকালে অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত পেশায় নির্মাণ শ্রমিক, বাড়ি নিকটবর্তী গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ১২ নভেম্বর ওই গ্রামের এক মহিলার সঙ্গে ধৃত তরুণ মদ্যপ অবস্থায় বিছানায় ছিলেন। দুজনেই প্রচুর পরিমাণ মদ্যপান করেছিলেন। খবর পেয়ে গ্রামের কিছু লোক দুজনকে বিবস্ত্র অবস্থায় ঘর থেকে বের করে বাইরের খুঁটিতে বেঁধে রাখে। খবর যায় রায়গঞ্জ থানায়। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। পরদিন আদালতে জামিন পাওয়ার পর গ্রামে সালিশি সভার মাধ্যমে বিতর্ক মিটিয়ে নেওয়া হয়।
কিন্তু সমস্যা এরপরেও মেটেনি। কিছুদিন পরে হঠাৎ ওই বধূর শ্বশুরবাড়ির তরফে তরুণের কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। আর সেই টাকা না দেওয়ায় গণ্ডগোলের সূত্রপাত। রায়গঞ্জ থানায় ওই বধূ ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।
রায়গঞ্জ জেলা আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটার শাওন চৌধুরী বলেন, ‘ওই তরুণের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা। আমরা এই বিষয়ে রায়গঞ্জ জেলা আদালতের ডিস্ট্রিক্ট জজ কোর্টের দ্বারস্থ হব। গত বছরের ১২ নভেম্বর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পেশ করে। সেখানে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। তারপরেও কীভাবে ওই মহিলা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করল তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’