রায়গঞ্জ: বিদ্যালয়ে ১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। তবুও বাড়ি ফিরে গেল পড়ুয়ারা। কারণ তাদের স্কুল যে বন্ধ। তবে কি কারণে বন্ধ তা জানা নেই কোনও পড়ুয়ার। স্কুলের পাশে অবশ্য থাকেন একজন মিড-ডে মিল কর্মী। তিনিও জানেন না স্কুল বন্ধের সঠিক কারণ। এমনই এক আজব স্কুলের (Faculty) সঙ্গে পরিচয় করাব আপনাদের।
স্কুলের ভেতরে যেদিকে চোখ রাখবেন, সেদিকই অস্বাস্থ্যকর। চারিদিকে নোংরা আবর্জনায় ভরা। রান্নাঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছাগল। স্কুলের পুরোনো ক্লাসরুমে রাখা রয়েছে পাটকাঠি ও খড়। জলের কলও অকেজো। যদিও দু-চারজন স্থানীয় ছেলেকে দেখা গেল স্কুলের ভেতরে ক্রিকেট খেলতে। তাদের ছাড়া গোটা স্কুলটাই ফাঁকা। শনিবার দুপুরে মহানন্দা নদীর পাশে দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট গোড়াহার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেল এমনই ছবি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিদ্যালয়ে ৪১০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং ১৩ জন শিক্ষক রয়েছেন। রয়েছেন ৫ জন মিড-ডে মিল কর্মী। ইটাহার ব্লকের (Itahar Block) গোড়াহার গ্রামে মহানন্দা নদীর পাশে অবস্থিত গোড়াহার স্কুলের বর্তমান পরিস্থিতি এটাই।
অভিভাবকেরা জানান, ‘এখানে পড়াশোনা হয়না। কেউই পড়ান না। মাঝেমধ্যেই স্কুলে ছুটি থাকে।’ স্কুলের শিক্ষক মেহবুব আলম বলেন, ‘বারিওল হাইস্কুলে আজ অনুষ্ঠান রয়েছে, তাই আমাদের স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু ওই স্কুলের সঙ্গে এই স্কুলের কী সম্পর্ক? তার উত্তর দেননি শিক্ষক মহাশয়।
এদিকে ইটাহার ব্লকের বিডিও (BDO) দিব্যেন্দু সরকার বলেন, ‘অন্যকোন স্কুলের অনুষ্ঠানের জন্য ওয়ার্কিং ডে-তে প্রাথমিক স্কুল বন্ধ রাখা যায় না। আমি এসআইকে বলছি প্রধান শিক্ষককে শোকজ করতে। তারপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’