বিশ্বজিৎ সরকার, রায়গঞ্জ: স্কুলের ভেতরে ঢুকে শিক্ষককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগে এলাকার প্রভাবশালী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের বাড়ি রায়গঞ্জ থানার পাঁচভায়া লাগোয়া শরীরাবাদ মোহনা এলাকায়। আক্রান্তের বিরুদ্ধে ধৃতের স্ত্রীর অভিযোগে ফোনে তার বোনকে উত্ত্যক্ত করতেন ওই শিক্ষক।
পুলিশ জানিয়েছে, রায়গঞ্জে ভাটোল ফাঁড়ির পাঁচভায়া গ্রামে মুলাইচণ্ডী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত গোবিন্দ বালো। শনিবার ক্লাস চলাকালীন আচমকাই স্কুলের ভেতরে ঢুকে সহকারী শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করে মুখ, চোখ ফাটিয়ে দেয় আনিকুল হক। এই ঘটনায় স্কুলের অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত প্রভাবশালীকে আটকে রাখে। খবর যায় ভাটোল ফাঁড়িতে। পুলিশ অভিযুক্ত প্রভাবশালী আনিকুল হককে গ্রেপ্তার করে রায়গঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।
রক্তাক্ত গুরুতর জখম শিক্ষককে মহারাজা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। যদিও শিক্ষকের বক্তব্য, ‘কি কারণে আমাকে মারধর করল তা বুঝে উঠতে পারছি না।’ অপরদিকে ধৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, ‘আমার বোনের বয়স ১৯ বছর। বোনকে ফোন করে বিরক্ত করত ওই শিক্ষক। রাস্তাঘাটে গেলে কুনজরে দেখত ও কু-প্রস্তাব দিত। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভয় দেখাত। চলতি মাসের ১৭ তারিখে ফোনে বোনকে নোংরা মন্তব্য করে, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।’
ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিন অর্থাৎ রবিবার দুপুরে ধৃতকে রায়গঞ্জ সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন। সরকারি আইনজীবী দীপ্তেশ ঘোষ বলেন, ‘অভিযোগ ও পালটা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ভাটোল ফাঁড়ির পুলিশ।’