রায়গঞ্জ: মোবাইল ফোনে কথা বলার ‘অপরাধে’ ভাগ্নিকে কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করলেন মামা। আর সেই মারের চোটেই মৃত্যু হল ভাগ্নির! ঘটনাটি ঘটেছে, রায়গঞ্জে। অভিযুক্ত মামাকে গ্রেপ্তার করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মৃত নাবালিকার নাম বাণী চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল সে।
জানা গিয়েছে, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বাণীর মা দীপা চৌধুরী তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে নিজের বাবার বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিল বাণী। সেইসময় তাঁর মামা নিরঞ্জন বর্মন তাঁর কাছে জানতে চায় যে সে কার সঙ্গে কথা বলছে। আর এই প্রশ্নের কোনও উত্তর না পাওয়ায় চেলা কাঠ দিয়ে বাণীর মাথায় আঘাত করে সে। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ওই ১৫ বছরের নাবালিকা। তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হয় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শল্য বিভাগে ভর্তি করা হলে, কিছুক্ষণ চিকিৎসার পর মৃত্যু হয় বাণীর।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত নিরঞ্জন বর্মনের বাড়ি কালিয়াগঞ্জ থানার ধনকৈল গ্রামে।তার বক্তব্য, ‘আমার ভাগ্নি মোবাইল ফোনে একজনের সঙ্গে কথা বলছিল। সেই বিষয়ে জানতে চাইলে ফোনটি ঢিল মেরে ছুড়ে ভেঙে দেয়। সেই রাগ সহ্য করতে না পেরে কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি মারি। বুঝতে পারিনি আমার লাঠির আঘাতে মৃত্যু হবে ভাগ্নির।’
এদিকে মেয়ের মৃত্যুতে একপ্রকার বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মৃত নাবালিকার মা দীপা চৌধুরী বর্মন। এই প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শল্য বিভাগের চিকিৎসক সঞ্জয় শেঠ বলেন, “মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জন্যই মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার। রায়গঞ্জ থানার জনৈক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “অভিযুক্ত মামাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে খুনের কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”