দীপঙ্কর মিত্র, রায়গঞ্জ: সরু রাস্তার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কুলিক নদী। জল তেমন না থাকলেও জলের দাপট এতটুকু কমেনি। সেই দাপটে ভাঙছে পাড়। ভাঙন রোধ করতে স্থানীয়রা গাছ লাগিয়েছিলেন। তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। এদিকে আবার সরু রাস্তায় চলে টোটো, ট্র্যাক্টর, বাইক, পণ্যবোঝাই ভ্যান। তার চাপে রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে। গার্ডওয়াল না থাকায় রাস্তার মাটি সরে গিয়েছে। তবুও ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়নি। সামান্য বেসামাল হলেই সোজা নদীতে। প্রায়শই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তাঁদের আশঙ্কা, যেভাবে রাস্তা ধসে পড়ছে তাতে আগামীতে ঘরবাড়ি বলে কিছু থাকবে না। বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে গার্ডওয়ালের দাবি জানিয়ে এসেছেন। অভিযোগ, প্রশাসন ও পঞ্চায়েতকে জানানো হলেও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণু সরকার বলেন, ‘গার্ডওয়াল না থাকায় রাস্তা ক্রমশ ভেঙে পড়ছে। রাস্তার ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় বিপদ আরও বাড়ছে। যে কোনওদিন রাস্তা ভেঙে নদীতে তলিয়ে যাবে। আমরা বাড়ি তৈরি করে বিপদে পড়েছি।’ আতঙ্কে রয়েছেন আরও এক বাসিন্দা সিদ্ধি সরকার। তিনি বলেন, ‘আমরা শহর লাগোয়া এলাকায় থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বেসামাল হলেই গড়িয়ে নদীতে পড়ত হবে।’
সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সুবল সরকার। স্বীকার করেছে গার্ডওয়ালের গুরুত্বের কথা। সুবল সরকার বলেন, ‘এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের। মানুষ খুব আতঙ্কে আছে। রাস্তা ও বাড়িঘর রক্ষার জন্য গার্ডওয়াল জরুরি।
বিষয়টি বিধায়ক ও পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়ে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব।’