Raiganj | মরা কুলিকের দূষণে জীবিকা সংকটে মৎস্যজীবীদের

Raiganj | মরা কুলিকের দূষণে জীবিকা সংকটে মৎস্যজীবীদের

ব্লগ/BLOG
Spread the love


দীপঙ্কর মিত্র, রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড ঘেঁষে রয়েছে মরা কুলিক নদী। ওই নদী লিজ নিয়ে সারা বছর মাছ চাষ করেন মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা। প্রায় ৭০ জন মৎস্যজীবী সমিতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

কিন্তু এই নদীতে দেবীনগর বাজার সহ আশপাশের এলাকার আবর্জনা ফেলায় নদীর জল দূষিত হয়ে পড়ছে। মাছ চাষ সেভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ মৎস্যজীবীদের। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তাঁরা।

নদীর ডানদিকে বাইরে থেকে যাতে কেউ আবর্জনা ফেলতে না পারে তার জন্য জাল লাগিয়ে দিয়েছেন মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা। এছাড়াও আবর্জনা না ফেলার জন্য নদীর পাশে পোস্টার লাগানো রয়েছে। তবুও আবর্জনামুক্ত করতে ব্যর্থ হচ্ছেন সমিতির সদস্যরা।

মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য সুকুমার সরকারের কথায়, ‘একদিকে শহরের আবর্জনা ও দূষিত জল নদীতে এসে পড়ছে। অন্যদিকে বাইরের মানুষজন আবর্জনা নিয়ে এসে নদীতে এসে ফেলছেন। যেহেতু মূল নদীর সঙ্গে এই নদীর কোনও সংযোগ নেই, তাই আবর্জনাগুলি সেখানেই থেকে যাচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি। কিন্তু তাও আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা যাচ্ছে না।’

দ্বীপনগর এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণু সরকার, বাসুদেব সরকারদের দাবি, আমাদের পূর্বপুরুষরা এই মরা নদীতে মাছ চাষ করে আসছেন। বর্তমানে গোটা শহরের জল এখানে এসে পড়ায় মাছের ক্ষতি হচ্ছে।

১৯৭২ সালে রায়গঞ্জ শহরে কুলিক নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণের আগে এটিই ছিল মূল নদী। বাঁধ তৈরির পর এটি মূল নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কুলিক বাঁধ ও মরা নদীর মাঝখানে গড়ে উঠে দ্বীপনগর গ্রাম। প্রায় ১৫০০ মানুষ সেখানে বাস করেন। আগে অধিকাংশ মানুষের পেশা মাছ শিকার করা হলেও এখন পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য অনেকে পেশাও পরিবর্তন করেছেন। তবুও কিছু মানুষ এখনও তাঁদের পূর্বপুরুষদের পেশাকে ধরে রেখেছেন।

মারাইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সুবল সরকারের বক্তব্য, ‘বাইরের আবর্জনা ও দূষিত জল মরা নদীতে ফেলা কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না। ফলে মাছ চাষ করতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছেন মৎস্যজীবীরা।’

২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর প্রসেনজিৎ সরকারের দাবি, ‘দেবীনগর বাজার ও আশপাশের এলাকার জল অন্য কোথাও ফেলার জায়গা না থাকায় ওই নদীতে গিয়ে পড়ে। তবে এদিকের জল পড়ে বলেই সেখানে মাছ চাষ করা যায় না বা জল দূষণ হচ্ছে তা হতে পারে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *