Raiganj | ভুল তথ্যে বিবাহবিভ্রাট! মণ্ডপে হাজির পুলিশ, আধার কার্ড প্রমাণ করল পাত্রী সাবালিকা

Raiganj | ভুল তথ্যে বিবাহবিভ্রাট! মণ্ডপে হাজির পুলিশ, আধার কার্ড প্রমাণ করল পাত্রী সাবালিকা

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


দীপঙ্কর মিত্র, রায়গঞ্জ: সারারাত জেগে মেয়ের বিয়েতে আনন্দ করে ভোরে আত্মীয়, বন্ধুরা সকলে ঘুমোতে গিয়েছেন। সকাল হতেই হঠাৎ বিয়েবাড়িতে ভারী বুটের আওয়াজ। সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে সলমান খানের আদলে মণ্ডপে হাজির খাকি উর্দিধারীরা। দৃশ্যটা ‘দাবাং’ ছবির নয়। রায়গঞ্জের একটি গ্রামের।

বিয়েবাড়ির আনন্দের মাঝে হঠাৎ পুলিশের আগমনে অবাক সকলেই। বিড়ম্বনায় কন্যাদায়গ্রস্ত বাবা-মা। তবে অভিযোগটা কী? প্রশ্ন করতেই যা উত্তর আসল তাতে বোঝা যায় সাবধানের মার নেই, প্রবাদকে কিছুটা বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভেবে ফেলেছেন তাঁরা। পুলিশের কাছে খবর ছিল, পাত্রী নাকি নাবালিকা। সুতরাং এ বিয়ে অবৈধ। শুধু তাই নয়,ওই খবরও নাকি পুলিশের কাছে গ্রামসূত্রেই এসেছে।

চরম বিব্রত হয়ে পড়েন মেয়ের বাবা-মা সহ আত্মীয়স্বজনরা। ঠিক সেই সময় ত্রাতার মতো হাজির হন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। পাত্রীর আধার কার্ড, জন্ম সার্টিফিকেট সহ সমস্ত কাগজপত্র দেখিয়ে ভুল ভাঙে পুলিশের। কারণ, নথি অনুযায়ী গত বছর জুন মাসেই পাত্রী জীবনের ১৮তম বসন্ত পার করে ফেলেছেন। অতএব তিনি সাবালিকা।

নিয়মমেনেই এই বছর পাশের গ্রামের এক তরুণের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করেছিল পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার রাতে বিয়ের পর মেয়ে, জামাই চলে গিয়েছে। কিন্তু শনিবার সকালে হঠাৎ পুলিশ গ্রামে ঢুকতেই হতচকিত হয়ে পড়ে সকলে। তবে গ্রামে পুলিশ ঢোকার খবর শুনেই শহর থেকে তড়িঘড়ি ছুটে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন পঞ্চায়েত সদস্য।

সমস্ত কাগজপত্র হাতে নিতেই ভুল ভাঙে পুলিশকর্মীদের। তাঁরা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে লিখিত স্বীকৃতি এবং সমস্ত তথ্য জমা নেন। তাঁদের বক্তব্য, কেউ বা কারা এই তথ্য দেওয়ায় আমাদের আসতে হয়েছে। কারণ ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেওয়া আইনত দণ্ডনীয়।

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রস্তুতির মাঝে গ্রামে বড় ভ্যান নিয়ে পুলিশ আসায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বক্তব্য, ‘গ্রামের মানুষ পুলিশ দেখে হতচকিত হয়ে পড়লেও পড়ে ভুল ভাঙে তাদের।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *