বিশ্বজিৎ সরকার, রায়গঞ্জ: স্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জমানো ৩০০০ টাকা চুরি করে জুয়া খেলেন স্বামী। ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে স্ত্রীকে বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে বাড়ির অদূরে ফেলে রাখার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল রায়গঞ্জের (Raiganj) ট্যাগরা কালীবাড়ি এলাকায়।
অভিযোগ, সোমবার রাতে ওই বধূকে গলার মধ্যে ইলেকট্রিকের তার পেঁচিয়ে বেধড়ক মারধর দিয়ে হাত পা বেঁধে বাড়ির অদূরে জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়। বধূর চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। এরপর জখম বধূকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেলে ভর্তি করে। জখম বধূর নাম জ্যোৎস্নারা খাতুন (৩৫)। বাড়ি স্থানীয় এলাকায়। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী নাইমুল হক সহ চারজনের বিরুদ্ধে মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তল্লাশি শুরু করেছে রায়গঞ্জ মহিলা থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন জরিনা বিবি, শিশ মহম্মদ ও মোরসালিম হক (দেওর)।
এপ্রসঙ্গে নির্যাতিতা বধূর বক্তব্য, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ৩০০০ টাকা জমিয়েছিলাম। বিকেলে সেই টাকা চুরি করে জুয়ার আসরে খেলে হেরে যায় স্বামী। আমি যেখানে টাকা রেখেছিলাম সেই জায়গায় দেখি আমার টাকা নেই। এরপর ওর কাছে সে টাকার কথা জিজ্ঞাসা করলে আমাকে ইলেকট্রিকের তার গলায় পেঁচিয়ে খুন করার চেষ্টা করে। নাক, মুখ ফাটিয়ে দেয়। আমার চিৎকারে ছুটে আসে স্থানীয়রা। তাঁরাই আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে।’
জেলা পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আক্তার জানান, মূল অভিযুক্ত সহ চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। বর্তমানে ওই বধূ রায়গঞ্জ মেডিকেলের শল্য বিভাগে চিকিৎসাধীন। তাঁর গলায় ও সারা শরীরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এপ্রসঙ্গে নির্যাতিতার ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, ‘আমার বোন বাড়িতে গোরু, ছাগল পোষার পাশাপাশি মানুষের জমিতে দিনমজুর দিয়ে টাকা জমিয়ে দুই ছেলেমেয়েকে মানুষ করছে। সংসার করার জন্যই এতদিন মুখ বুজে ছিল। যেভাবে আমার বোনকে মারধর করে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা চাই, অভিযুক্ত জামাইবাবুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।’