রায়গঞ্জ: কাকতালীয়। তবে শোকের ছায়া এলাকাজুড়ে। বাবার মৃত্যুর মাত্র ৫ মিনিট পর মৃত্যু হল ছেলেরও। একই চিতায় শবদাহ করা হল বাবা ও ছেলের। মর্মান্তিক এই ঘটনা রায়গঞ্জের দুর্গাপুর বাগানবাড়ির।
বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ৭০ বছরের ভুবন সরকার। দুর্গাপুর বাগানবাড়ি এলাকায় বুধবার রাত ১১টা নাগাদ স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে তাঁর। সেই ঘটনার মিনিট পাঁচেকের মধ্যে কিডনির কার্যক্ষমতা হারিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ভুবনবাবুর ৪০ বছরের ছেলে বৈদ্যনাথ সরকারও। একই পরিবারে দুই সদস্যের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকাজুড়ে।
প্রয়াত বৈদ্যনাথ সরকারের একমাত্র ছেলে অনিমেষ সরকার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। শ্মশানে মুখাগ্নি করে এসে বলে, ‘একরাতে দাদুকে হারালাম, বাবাকেও হারালাম। এমন ঘটনায় আমাদের পরিবারকে দেখার মতো কেউ থাকল না।’
স্থানীয় বাসিন্দা বিপুল সরকার জানান, ‘কিডনির সমস্যায় ডায়ালিসিস চলছিল বৈদ্যনাথ সরকারের। বুধবার রাতে শরীর খারাপ হলে বৈদ্যনাথকে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স হাসপাতালের পথে রওনা হয়। ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যান বাবা ভুবন সরকার। বৈদ্যনাথবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। বাবা ও ছেলের একইদিনে মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত।’
খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা বীণা নদীর ঘাটে শ্মশানে হাজির হন। তাঁদের মধ্যে গিরিজাকান্ত সরকার বলেন, ‘আমি আমার জীবনে কোনওদিন এমন পরপর মৃত্যুর ঘটনা দেখিনি। কারও কাছে শুনিওনি। পরিবারটার জন্য খারাপ লাগছে।’