রায়গঞ্জ: পাওনাদারদের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে বেপাত্তা অবসরপ্রাপ্ত এক প্রাথমিক শিক্ষক। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের খোঁজে প্রায় প্রতিদিনই বাড়িতে আসছেন পাওনাদারেরা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন বিগত প্রায় ৬ মাস ধরে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন শিক্ষক ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। শিক্ষককে না পেয়ে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন পাওনাদারদের অনেকেই।
ঘটনাটি রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর এলাকায় ২৭ নং ওয়ার্ডের। পলাতক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের নাম কৃষ্ণধন দাস। তিনি দেবীনগর মহারাজা জগদীশ নাথ হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। বছর পাঁচেক আগে অবসর নিয়েছেন। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে একাধিক লোকের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে চম্পট দিয়েছেন ওই শিক্ষক। কালীপুজোর আগের দিন বাড়িতে তালা দিয়ে মালপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় বলে দাবি বাসিন্দাদের। পাওনাদাররা প্রায় দিনই টাকা ফেরত পেতে এসে বাড়িতে কাউকে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কাউকে না পেয়ে গালিগালাজ করে ফিরে যাচ্ছেন। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি বাসিন্দাদের।
রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর এলাকায় ২৭ নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা। এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণধন বাসিন্দা দেবীনগর মহারাজা জগদীশ নাথ হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। বছর পাঁচেক আগে অবসর নিয়েছেন। অভিযোগ, বিভিন্ন কারন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন ওই শিক্ষক। কালীপুজোর আগের দিন বাড়িতে তালা দিয়ে মালপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় বলে দাবি বাসিন্দাদের। এদিকে এক পাওনাদারের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ওই শিক্ষকের বাড়ি যান। কিন্তু কাউকে না পেয়ে ফিরে আসেন।
বুধবার অভিযুক্ত শিক্ষক কৃষ্ণধন দাসকে একাধিক ফোন করা হলে ফোন কেটে দেন। ওনার প্রতিবেশি রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবনের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক উত্তম মিত্র জানান, ‘প্রায় ৬ মাস হল বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন শিক্ষকের পরিবার। বহু মানুষ তার কাছে টাকা পাবেন শোনা যাচ্ছে। আবার শুনতে পাওয়া যাচ্ছে একাধিক জনের কাছে বাড়ি বিক্রি করেছেন। প্রায়দিন পাওনাদাররা এসে বাড়িতে কাউকে না পেয়ে গালিগালাজ করছেন। পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। গতকাল পুলিশ এসে খুঁজে গেছে। আমরা বুঝতে পারছি না কোথায় গেছেন।’ অন্যদিকে, আরেক বাসিন্দা সাধন চক্রবর্তী বলেন, ‘শিক্ষকের পরিবার কোথায় চলে গেল বুঝতে পারছি না। প্রায়দিন মানুষ জন টাকার জন্য এসে ঘুরছেন। গালিগালাজ করে যাচ্ছেন।’
বাড়িতে জঙ্গল হয়ে যাওয়ায় সাপ পোকামাকড়ের উপদ্রব হয়েছে। রায়গঞ্জ পুরসভার ২৭ নং ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর প্রসেনজিত সরকার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ওই শিক্ষক সহ পরিবার। অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। গোপনে বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি রায়গঞ্জ পুরসভার এক প্রাক্তন চেয়ারম্যানেরও টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যারা টাকা পাবেন তারা প্রতিদিন আসছেন।