রায়গঞ্জ: বিপজ্জনক অবস্থা রায়গঞ্জ মেডিকেলের। বিভিন্ন ওয়ার্ডের ছাদ চুইয়ে জল পড়ছে। সেই জল পড়ছে স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও পরিজনদের গায়ে। জল চুইয়ে পড়া অংশ থেকে মাঝে মাঝে পলেস্তারা খসে পড়ছে। মরচে পড়া রডও বেরিয়ে এসেছে। এই অবস্থাতেই চলছে পরিষেবা। কোথা থেকে এই জল আসছে?
মেডিকেল সূত্রে খবর, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই শৌচাগার রয়েছে। আবার পানীয় জলের ব্যবস্থাও রয়েছে। সেই জল ছাদ ফুটো হয়ে পড়ছে। তবে সেটা শৌচাগারের নাকি পানীয় জলের তা নিয়ে সন্দিহান সকলেই। পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে ছেলে। তাকে মেডিকেলে ভর্তি করেছে সাহেবা বিবি। তাঁর অভিযোগ, ‘যে বেডে ছেলে শুয়ে রয়েছে তার মাথার সামনে দেওয়াল বেয়ে জল চুইয়ে পড়ছে। ফাটল দেখা দিয়েছে ছাদে। যে কোনও মুহূর্তে ফলস সিলিং ভেঙে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
হাসপাতালের দশতলা বিল্ডিংয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বারবার অভিযোগ ওঠে। জল নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিলেও তার সমাধানসূত্র এখনও বের করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। শৌচালয়ের নোংরা জল জমতে জমতে ছাদে ফাটলও দেখা দিয়েছে।
মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন পলাশ মণ্ডলের দাদা। তিনি বলেন, ’দাদা হার্টের সমস্যা নিয়ে এই ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। নিঃশ্বাসের সমস্যা রয়েছে, অক্সিজেন চলছে। কিন্তু শৌচালয় এতটাই নোংরা যে সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এখানে থাকাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মেডিকেল কর্তৃপক্ষ সমস্ত দায় ঠেলেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের ঘাড়ে। হাসপাতালের এমএসভিপি প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, ‘রায়গঞ্জ মেডিকেল বিল্ডিং দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে সরকারি সংস্থা। জল নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করার জন্য তাদের অনেকবার জানানো হয়েছে। হাসপাতাল পরিষ্কার করার জন্য বেসরকারি সংস্থাকে বরাত দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। সবটাই তাদের দেখার কথা।’