QR কোডেই জালিয়াতির ফাঁদ! খদ্দেররা বিল মেটালেও ঢুকত না মালিকের অ্যাকাউন্টে

QR কোডেই জালিয়াতির ফাঁদ! খদ্দেররা বিল মেটালেও ঢুকত না মালিকের অ্যাকাউন্টে

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার: পার্ক সার্কাসের একটি নামী রেস্তরাঁয় খদ্দেরদের কাছ থেকে টাকা চুরি। অভিনব উপায়ে কিউআর কোডের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা চুরির ফাঁদ পেতেছিল ওই রেস্তরাঁর কর্মী। প্রায় এক লক্ষ টাকা চুরির অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হল রেস্তোরাঁর দুই কর্মী। পুলিশের কাছে ধৃতদের পালটা মৌখিক অভিযোগ, তাদের রেস্তরাঁর ভিতর নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই ব্যক্তির নাম প্রসেনজিৎ মাইতি ও শেখ গোলাম নবি আজাদ। প্রসেনজিৎ পার্ক সার্কাসের ওই নামী রেস্তোরাঁয় পরিচারকের কাজ করত। কয়েক মাস আগে যোগ দিয়েছে সে। শেখ গোলাম নবি আজাদ রেস্তরাঁয় ক্যাশিয়ারের পদে ছিল। পুলিশের দাবি, অভিনব উপায়ে তারা দুজন মিলে চুরির ফাঁদ পাতে। ওই দুজনের মূল টার্গেট ছিল, যাঁরা অনলাইনে টাকা মেটান। কোনও খদ্দের খাওয়াদাওয়ার পর প্রসেনজিৎ তাঁদের কাছে বিল নিয়ে যেত। তাঁদের মধ্যে কেউ অনলাইনে বিল মেটানোর কথা বললে প্রসেনজিৎ ক্যাশিয়ারের কাছে যেত। গোলাম নবি প্রসেনজিতের হাত দিয়ে একটি বিশেষ কিউআর কোড পাঠাত। খদ্দেররা ওই কিউআর কোড স্ক্যান করলে সেই টাকা আর রেস্তোরাঁরা অ্যাকাউন্টে যেত না। খদ্দেরদের অজান্তেই টাকা পৌঁছে যেত ক্যাশিয়ারের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে। আর ওয়েটার প্রসেনজিৎ ওই টাকার একটি অংশ পেত। এভাবে গত কয়েক মাসে অ্যাকাউন্ট থেকে লাখ টাকারও বেশি চুরি করে দু’জন।

সম্প্রতি আর্থিক বছরের শেষে টাকার হিসাব মেলাতে গিয়ে অ্যাকাউন্টে গরমিল ধরা পড়ে। ক্যাশিয়ারকে ধরে রেস্তরাঁর মালিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রথমে সে অস্বীকার করে। জানা গিয়েছে, ক্রমে রেস্তরাঁর ভিতর মারধর করায় সে স্বীকার করে। প্রসেনজিতেরও ভূমিকা সে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দু’জনকে উদ্ধার করে। বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় দু’জন। ক্যাশিয়ারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *