হরিশ্চন্দ্রপুরঃ হরিশ্চন্দ্রপুরের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে বয়ে গিয়েছে ফুলহর নদী। গত কয়েকদিন ধরে আশ্চর্য ঘটনা লক্ষ্য করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। সেখানে একটি জলের পাইপ লাইনের ফুটো দিয়ে বেরোচ্ছে গ্যাসের মত কোনও পদার্থ। আর তাতে জ্বলন্ত দেশলাই কাঠি ধরলেই জ্বলছে আগুন। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের খিদিরপুর গ্রামে। এই ঘটয়ায় হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর বন্যায় ফুলহার নদীর ভাঙনে অসংখ্য জমি নদীর গর্ভে চলে যায়। জমিগুলো জেগে উঠেছে। অনেক চাষি ধান ও ভুট্টা চাষ করেছেন। শুক্রবার শেখ হাকিমুদ্দিন নামে স্থানীয় এক চাষি জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য পাম্প বসান। পাম্পের কাজ শেষ হলে দেখা যায়, ওই জায়গায় জলের মধ্য থেকে বুদবুদ আকারে গ্যাস বেরোচ্ছো। কৌতুহলবশত তাতে দেশলাই ধরতেই তা জ্বলে ওঠে। তা দেখার জন্য হরিশ্চন্দ্রপু্রের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছুটে আসছে মানুষ। চাষি হাকিমুদ্দিন বলেন, ‘আমার জমি গত বছর বন্যায় ফুলহার নদীর গর্ভে তলিয়ে গেছে। নদীর চর জেগে উঠেছে। জমিতে ধান ও ভুট্টা চাষ করেছি। এদিন পাম্প বসানোর পর দেখি পাইপের গোড়া থেকে জলের মধ্যে বুদবুদ করে কি যেন একটা উঠছে। জল সরিয়ে দেশলাই কাঠি ধরতেই জ্বলে উঠছে। আমার মনে হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস রয়েছে।’
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের মালদহ জেলা সভাপতি সুনিল দাস বলেন, ‘মাটির নীচে বিভিন্ন জায়গায় প্রাকৃতিক ভাবে মিথেন গ্যাস তৈরি হয়। ওই মিথেন গ্যাস থেকে ভাল জ্বালানী পাওয়া যায়। এটি মিথেন গ্যাস হতে পারে। তবে বিষয়টি না দেখে পরিস্কারভাবে বলা কঠিন। তবে এই গ্যাস থেকে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’
হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের বিডিও তাপস কুমার পাল বলেন, বিষয়টি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।