উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাতে ভারতের কড়া জবাব ছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানের দরুন পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) এবং পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে বিদ্ধংসী হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল ৯ টি জঙ্গি শিবির। তবে সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুরের ৯০ দিনের মধ্যেই ১৫ টি জঙ্গিঘাঁটি পুনরায় নির্মাণ করে ফেলা হয়েছে। আর এই কাজে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে প্রত্যক্ষ মদত জুগিয়ে চলেছে পাকিস্তান, এমনটাই জানা গিয়েছে সাম্প্রতিককালে প্রাপ্ত গোয়েন্দা রিপোর্টে।
জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরে ধুলিস্যাত হয়ে যাওয়া জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে পূনর্নির্মাণের কাজে হাত লাগিয়েছে পাকিস্তানি সেনা এবং তাদের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সূত্রের খবর, ৯০ দিনের মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ১৫ টির বেশি জঙ্গি শিবির এবং লঞ্চপ্যাড। আর এই কাজে অর্থসাহায্য করছে আইএসআই এবং অন্যান্য পাকিস্তানি সরকারি সংস্থা।
তবে নতুন তৈরি এই জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে ভারতের নজরদারি এড়াতে এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের যেসব জায়গায় এই জঙ্গি শিবিরগুলি গড়ে উঠেছে সেগুলি হল- কেল, জুরা, লিপা উপত্যকা, টান্ডাপানি, নয়ালি, শারডি, দুধনিয়াল, আঠমুকাম, জানকোট ও চাকোঠি। এর পাশাপাশি জম্মু সংলগ্ন আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে মাসরুর এবং চাপরারে চারটি লঞ্চপ্যাড গড়ে তোলা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে এই শিবিরগুলি নির্মানে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ করেছে আইএসআই(ISI)।
তবে শুধুমাত্র বিপুল টাকা ঢালাই নয়, জঙ্গি শিবিরগুলি নির্মানের ক্ষেত্রেও নতুন কৌশল নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর নজরদারি থেকে বাঁচতে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বানানো হচ্ছে এই শিবিরগুলি। শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশপাশি প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে মহিলা এবং নাবালকদের। জোর দেওয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক ড্রোণের ব্যবহারে। এমনকি ভারতীয় সেনাবাহিনীর হামলায় যাতে এক ধাক্কায় অনেক জঙ্গি নিহত না হয় সেই জন্য এই শিবিরগুলিতে থাকা জঙ্গিদের সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে প্রতিটি শিবিরে ২৪ থেকে ২৫ জন জঙ্গিকে রাখা হচ্ছে। এর আগে যেসব জঙ্গি শিবিরগুলি ভারতের আক্রমণে গুড়িয়ে গিয়েছিল, সেই শিবিরগুলিতে এর থেকে ৫ গুন বেশি জঙ্গি থাকত বলে জানা গিয়েছে।