উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: টেক অফের পরই ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার AI 171 বিমান (Plain crash)। আমেদাবাদের মেঘানিনগরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা ৩৯ মিনিট নাগাদ বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বিমানে থাকা পাইলট, কেবিন ক্রু ও যাত্রী মিলিয়ে ২৪২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এরপরই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিমানে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা না কি হিউম্যান এরর তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। পেছনে কোনও নাশকতা রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।
তবে উড়ানটির পাইলট দুজনেই যথেষ্ট অভিজ্ঞ বলে জানিয়েছে ডিজিসিএ (DGCA)। সেক্ষেত্রে হিউম্যান এররের সম্ভাবনা যথেষ্টই কম বলে মনে করা হচ্ছে। বিমানটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল। তিনি একজন LTC অর্থাৎ, লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন। ৮২০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। অন্যদিকে সহকারি পাইলট ছিলেন ক্লাইভ কুন্ডার। তাঁর ১১০০ ঘন্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। এত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটরা থাকা সত্ত্বেও কেন দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার না হলে দুর্ঘটনার কারণ জানা সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডিজিসিএ তাদের স্টেটমেন্টে বলেছে, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, ফ্লাইট নম্বর এআই-১৭১, আমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে। উড়ানের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ‘মে-ডে’ সংকেত পাঠায় বিমানটি, কিন্তু তার পর আর এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (ATC)-এর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারেননি পাইলটরা।