Phansidewa | ডিভাইডার থেকে দেদার ফুল চুরি, সৌন্দর্যায়নের দফারফা

Phansidewa | ডিভাইডার থেকে দেদার ফুল চুরি, সৌন্দর্যায়নের দফারফা

শিক্ষা
Spread the love


সৌরভ রায়, ফাঁসিদেওয়া : কথায় বলে, চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ো ধরা। ভালো করে গুছিয়ে একটা চুরি করতে পারলে চোরেরা মহানন্দে থাকলেও যাঁদের জিনিস চুরি যাচ্ছে তাঁরা মোটেই ভালো বোধ করেন না। তবে সিঁধ কেটে চুরি নিয়ে নয়, এমনকি রাজ্যজুড়ে তোলপাড় ফেলে দেওয়া চাকরি চোরদের নিয়েও নয় বরং জাতীয় সড়কে কিছু ফুল চোরের আনাগোনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এই চোরেরা ভোরে পাড়ার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ফুল চুরির মতো সামান্য কাজ করে না। ফুলবাড়ি বিস্কুট কারখানা থেকে ঘোষপুকুর, বিধাননগর পর্যন্ত ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ডিভাইডারে লাগানো ফুল গাছ থেকে দেদার ফুল চুরি চলছে। আর তাতেই জাতীয় সড়কের সৌন্দর্যায়নের দফারফা। চোরেরা পায়ে হেঁটে নয়, বরং চুরি করতে আসছে একেবারে চারচাকায়। রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রোজ ইচ্ছেমতো ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছে। পরদিন সকালে শিলিগুড়ির মহাবীরস্থান সহ বিভিন্ন জায়গায় সেই ফুল বিক্রি করতে পারলেই ব্যাস। মুনাফা নিয়ে সগৌরবে ঘুরে বেড়াচ্ছে চোরের দল।

প্রতিদিন সকলের চোখের সামনে এই চুরি চলছে। কিন্তু পদক্ষেপ করবে কে! বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার লোক তেমন নেই৷ বেআইনি এই কারবার থামাতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষেরও কোনও মাথাব্যথা নেই। তাই ভরা শ্রাবণেও চোরেদের এখন পৌষমাস। আর এতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের রাস্তা সাজানোর উদ্দেশ্যও ব্যর্থ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অবশ্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জাতীয় সড়কের মাঝে ডিভাইডারে লাগানো গাছ উজাড় করে ফুল তুলে নিচ্ছে এই চক্রটি। উত্তরবঙ্গে বরাবর ফুলের জোগান দেয় ফাঁসিদেওয়া। ব্লকজুড়ে নানা প্রজাতির ফুলের চাষ হয়। সেই ফুলই বিভিন্ন জেলায় পৌঁছায়। এতদিন চাষের ফুলের জোগান পাওয়া যেত। এখন তার সঙ্গে ব্যবসায় দোসর চুরির ফুল। যা পুজো সহ নানা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এনিয়ে ফাঁসিদেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা এক্কার মন্তব্য, ‘এভাবে যে ফুল চুরি হচ্ছে তা আমার জানা নেই। তবে কোনও অনুমতি ছাড়া কীভাবে ফুল তোলা হচ্ছে তা নিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকেও আমি বিষয়টি জানাব।’

গুয়াবাড়ির এক বাসিন্দা দিলীপ বর্মন বললেন, ‘রোজই কয়েকজন চারচাকা গাড়ি নিয়ে আসে। জাতীয় সড়কের ডিভাইডারে লাগানো গাছ থেকে ফুল ছিঁড়ে পলিথিন ভরে নিয়ে যেতে দেখি। সম্ভবত বিক্রির জন্যই নিয়ে যায়।’ ডিভাইডারে এই গাছ লাগানো থেকে পরিচর্যা সবটাই করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এমনকি গাছ ভালো রাখতে ট্রি কাটিং, কীটনাশক স্প্রে সবই করা হয়। কিন্তু তাতে লাভ কতটা হচ্ছে তা বলা যায় না। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসনিক নজরদারি থাকলে জাতীয় সড়কের চেহারা আরও মনোরম হতে পারত বলে দাবি স্থানীয়দের। কিছু না হলেও জাতীয় সড়কের পাশে ফুলের গাছগুলি চোখের শান্তি এনে দেয়। ফাঁসিদেওয়ার পীযূষ পালিত নামে টোটোচালকের কথায়, ‘ভোরে ভাড়া নিয়ে কোথাও যাওয়ার সময় একটি দলকে রোজ গাছ থেকে ফুল তুলতে দেখি। ওরা ওই ফুল বিক্রি করে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *