পাণ্ডবেশ্বর: ‘ডিহি’ পার্ক ও পার্ক সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হল শিশুর মাথার খুলি, হাড়, চুল, কাপড়ের টুকরো। শনিবার সকালের এই ঘটনায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পান্ডবেশ্বর থানার কুমারডিহি গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার সঙ্গে গত ৫ মাস আগে এই এলাকার যমজ বোনের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার রহস্যের যোগ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে কুমারডিহির ‘ডিহি’ পার্কের পেছনে খোলা মাঠ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু হাড়ের টুকরো, মাথার খুলির অংশ, চুল ও কাপড়ের টুকরো। এরপরেই “ডিহি” পার্কের ভেতর ও বাইরে তল্লাশি শুরু করে পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ। পার্কের চারপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সন্ধে পর্যন্ত চলে সেই তল্লাশি অভিযান। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তল্লাশিতে মাথার খুলি, হাড়, চুল, কাপড়ের টুকরো উদ্ধার হয়েছে। এগুলি কোনও শিশুর শরীরের অংশ হতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে অনুমান পুলিশের।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ১ ডিসেম্বর সকালবেলায় কুমারডিহি স্টেডিয়াম থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় স্নেহা ও স্নিগ্ধা বাউরি নামে বছর দশকের দুই যমজ বোন। অন্ডালের কাজোড়া গ্রামে তাঁদের বাড়ি হলেও নিখোঁজ যমজ বোন থাকতেন কুমারডিহি গ্রামে বাউরি পাড়ায় তাঁদের মামার বাড়িতে। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও নিখোঁজ যমজ বোনের খোঁজ মেলেনি এখনও। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তৈরি হয়েছিল চাপা ক্ষোভ। এরপরে গত ফেব্রুয়ারি মাসে নিখোঁজ বোনেদের সন্ধান পেতে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার দেয় পুলিশ। কিন্তু তারপরও মিলেনি সাফল্য। এদিন এইসব কিছু উদ্ধার অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে নিখোঁজ ওই বোনদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা থাকায় এই সন্দেহ আরও বেড়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন এইসব কিছু উদ্ধার হওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া কাপড়ের টুকরোর সঙ্গে নিখোঁজ থাকা দুই বোনের জামার মিল রয়েছে। যে জায়গা থেকে এইসব কিছু উদ্ধার হয়েছে সেই জায়গা পুলিশ ব্যারিকেড করে ঘিরে দিয়েছে। রবিবার এই জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য ফরেনসিক দল আসতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। তবে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে, উদ্ধার হওয়া দেহাংশের ডিএনএ পরীক্ষার পরেই এগুলির সঙ্গে নিখোঁজ দুই শিশুর মিল রয়েছে কিনা তা জানা সম্ভব হবে।