Palm kernels | চড়া দামেও ব্যাপক চাহিদা, রায়গঞ্জে দেদারে বিকোচ্ছে তালশাঁস

Palm kernels | চড়া দামেও ব্যাপক চাহিদা, রায়গঞ্জে দেদারে বিকোচ্ছে তালশাঁস

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


রায়গঞ্জ: গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এই সময়টায় রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দেদারে তালশাঁস বিক্রি ভালোই হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের দেবীনগর থেকে শিলিগুড়ি মোড় পর্যন্ত একাধিক জায়গায় গাড়ি ভর্তি করে তালশাঁস নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা। আর পথচলতি আট থেকে আশির পুরুষ ও মহিলা সকলেই তাঁদের থেকে তালশাঁস কিনে চেখে দেখছেন।

তবে যেহেতু এটা তালশাঁসের মরশুমের শুরুর দিক, তাই এখন দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি। বর্তমানে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কুড়ি টাকায় তিন পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। যদিও কিছুদিন পর থেকে পাঁচ টাকা প্রতি পিস হিসেবে বিক্রি হবে বলে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে। এবিষয়ে শহরের বিবিডি মোড় এলাকার এক তালশাঁস বিক্রেতা সুনীল মালাকার জানিয়েছেন, প্রতি বছর তালশাঁসের ভীষণ চাহিদা থাকে। এখন যেগুলো বিক্রি হচ্ছে সেগুলো বাইরে থেকে নিয়ে আসা। কিছুদিন পর থেকে লোকাল তালশাঁস পাওয়া গেলে দাম এমনিই কমে যাবে।

যদিও পরিবার ও প্রিয়জনের জন্য তালশাঁস কিনতে হিসাব করছেন না কেউ। অভিজিৎ নাগ নামের শহরের এক বাসিন্দার কথায়, ‘নিকটজনের আবদার তালশাঁস তার লাগবেই। তাই প্রায় প্রতিদিন তার কর্মস্থলে গিয়ে তালশাঁস দিয়ে আসি। আবার বাড়ির জন্যও কিছু পরিমাণ কিনে আনি।’ হাফিজুর শেখ নামে আরেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ির সকলে তালশাঁস খেতে ভীষণ ভালোবাসেন। সেজন্য প্রতিদিন সকালে বাজার থেকে তালশাঁস কিনে এনে ফ্রিজে রেখে দেন। দুপুরের খাওয়াদাওয়া শেষ হলে তখন সবাই একসঙ্গে মিলে তালশাঁস খান।

তালশাঁসের বিভিন্ন গুণাগুণ সম্পর্কে কমবেশি সকলেই অবহিত। কিন্তু ভোজনরসিক বাঙালির কাছে তালশাঁসের চাহিদা মূলত এর অসামান্য স্বাদের জন্য। যেমন- পূজা গুপ্ত নামের শহরের এক বাসিন্দার কথায়, ‘কচি অবস্থার তালশাঁসের স্বাদ একরকম, আবার তুলনামূলক পরিণত অবস্থায় তালশাঁসের স্বাদ আরেকরকম। যদিও দুটোই অপূর্ব স্বাদের। প্রতি বছর গরমের সময় তালশাঁস ভীষণ জরুরি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *