নয়াদিল্লি: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। ইজরায়েলের অপারেশন রাইজিং লায়ন-এর জবাবে ইরান পালটা পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। পুরোদস্তুর যুদ্ধের আবহে বিপদে পড়েছেন ইরানে বসবাসকারী বিদেশিরা। এই পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে ‘অপারেশন সিন্ধু’ চালু করেছে ভারত। এবার সেই অভিযানেই নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের উদ্ধার করার কাজও শুরু হতে চলেছে।
শনিবার বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে তাদের দেশের নাগরিকদের উদ্ধার করা হবে ইরান থেকে। তেহরানের ভারতীয় দূতাবাস ইতিমধ্যে একাধিক জরুরি হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করেছে। ওই হেল্পলাইন মারফত নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের দ্রুত যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমেও তাঁদের যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস।
এদিকে ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে ভারত সরকার ‘অপারেশন সিন্ধু’র মাধ্যমে যেসব ভারতীয় নাগরিক ইরানে আটকে পড়েছিলেন, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ অব্যাহত রেখেছে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার (২১ জুন) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট নাগাদ ইরান থেকে আরও একটি উদ্ধারকারী বিমান দিল্লিতে পৌঁছেছে। ওই ফ্লাইটে ছিলেন ৩১০ জন যাত্রী।
শনিবার সকালে আরও একটি বিমান ২৫৬ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে নিয়ে ইরানের মাশহাদ শহর থেকে দিল্লিতে পৌঁছোয়। ওই পড়ুয়াদের বেশিরভাগই কাশ্মীর উপত্যকার বাসিন্দা। টানা কয়েক দিন ইরানে যুদ্ধের আশঙ্কায় চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন তাঁরা। দেশে ফিরে অনেকেই জানিয়েছেন, কী ভয়াবহ ঝড় বয়ে গিয়েছে তাঁদের ওপর দিয়ে।
কাশ্মীরি ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন ‘জম্মু ও কাশ্মীর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’ দ্রুত পদক্ষেপের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ও ইরান সরকারের যৌথ উদ্যোগের প্রশংসা করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘আমরা আশা করি বাকি ছাত্রদেরও নিরাপদে ফিরিয়ে আনার কাজ দ্রুত শেষ হবে, বিশেষ করে যাঁরা দূরদূরান্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে রয়েছেন।’ শুক্রবার রাতে আরেকটি বিমান মাশহাদ থেকে ২৯০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থীকে নিয়ে দিল্লি এসে পৌঁছোয়। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও দুটি বিমান আসার কথা রয়েছে, যার মধ্যে একটি আশখাবাদ (তুর্কমেনিস্তান) থেকে রবিবার ভোর ৩টার দিকে দিল্লি পৌঁছোবে বলে জানা গিয়েছে।