উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ভারতের সঙ্গে তেল বাণিজ্য (Oil Enterprise) থামবে না। বরং আলোচনার ভিত্তিতে ভারতীয় ক্রেতারা ৫ শতাংশ ছাড়ে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল পাবেন। এমন মন্তব্য করলেন ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার ডেপুটি ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ইয়েভগেনি গ্রিভা (Yevgeny Griva)। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনার ক্ষেত্রে প্রায় ৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। তবে সেটা আলোচনার ওপর নির্ভর করবে।
তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার ডেপুটি চিফ অব মিশন রোমান বাবুশকিন (Roman Babushkin)। তিনি বললেন, ‘ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে আমাদের আস্থা আছে। আমরা নিশ্চিত, বাইরের চাপ সত্ত্বেও ভারত-রাশিয়া তেল বাণিজ্য চলতে থাকবে।’
এমন আবহে আগামী দু’মাসের জন্য রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল আমদানির বরাত দিল ভারতের দুইটি তেল শোধন সংস্থা।
এদিকে রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতের ওপর মোটা অঙ্কের শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। এনিয়ে বেশ সরগরম বিশ্ব রাজনীতি। ওই সময় বিভিন্ন সুত্র মারফত খবর পাওয়া যায় এবার রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেবে ভারত। কারণ, রুশ তেলের দামে এতদিন পর্যন্ত যতটা পরিমাণ ছাড় মিলছিল সেটা বর্তমানে কমে গিয়েছে। এছাড়াও রুশ তেল কেনা নিয়ে আমেরিকা ভারতের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
এই যুক্তি দেখিয়ে রয়টার্সের তরফে বলা হয়, ভারতের চারটি শোধনাগার নাকি গত এক সপ্তাহে রুশ তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। এই চারটি শোধনাগার হল, ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম, ভারত পেট্রোলিয়াম এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রো কেমিক্যালস। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি ট্রাম্পের চাপের মুখে নতি স্বীকার করল ভারত?
তবে ওই সময় ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল (Randhir Jaiswal) জানিয়েছিলেন, শক্তি সম্পদের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান সকলেই জানে। আমাদের চাহিদা, জাতীয় স্বার্থ এবং বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী শক্তিসম্পদ আমদানি করা হয়।
এহেন পরিস্থিতিতে বুধবার জানা যায়, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের জন্য ভারত বিপুল পরিমাণ তেলের বরাত দিয়েছে। তার কারণ সম্প্রতি ব্যারেল প্রতি তিন ডলার ছাড় দেওয়া হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী, এই ছাড়ের অঙ্কটা ৫ শতাংশ হতে চলেছে।
ভারত প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি করে। ফলে প্রতি ব্যারেলে তিন ডলার ছাড়টাই শেষ পর্যন্ত ভারতের জন্য বিরাট অঙ্কের সাশ্রয় হবে। তারপর তো আরও কিছু ছাড় পাওয়ার কথা রয়েছে। দেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার থেকে ব্যয় কমবে। মুনাফার এই অঙ্কগুলি মাথায় রেখে রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিল ভারত। তবে এনিয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।