নয়াদিল্লি: ইরানের পরমাণু শক্তিধর দেশ হওয়া ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইজরায়েল। এ ব্যাপারে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে সমর্থন করছে আমেরিকা ও পশ্চিমী দেশগুলি। এদিকে কিছুটা নীরবেই নিজেদের পরমাণু অস্ত্রের ভাঁড়ার ভরিয়ে চলেছে চিন। সোমবার প্রকাশিত স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) রিপোর্ট বলছে, গত একবছরে ১০০টি পরামাণু ওয়ারহেড তৈরি করে ফেলেছে চিন। ২০২৪-এ তাদের কাছে এ ধরনের ৫০০টি পারমাণবিক অস্ত্র ছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যা ৬০০-য় পৌঁছে গিয়েছে। বাৎসরিক পরমাণু অস্ত্রের বিস্তারে আমেরিকা, রাশিয়াকেও ছাপিয়ে গিয়েছে শি জিনপিংয়ের সরকার।
এসআইপিআরআই-এর হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে রাশিয়ার কাছে। সংখ্যাটা ৪,৩০৯। দ্বিতীয় আমেরিকা। তাদের কাছে রয়েছে ৩,৭০০টি পরমাণু বোমা। তৃতীয় চিন। এরপর যথাক্রমে রয়েছে ফ্রান্স (২৯০), ব্রিটেন (২২৫), ভারত (১৮০) এবং পাকিস্তান (১৭০)। ইজরায়েলের কাছে রয়েছে ৯০টি পরমাণু ওয়ারহেড। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা কিম জং উনের উত্তর কোরিয়ার কাছেও ৫০টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে বলে এসআইপিআরআই জানিয়েছে।
পারমাণু শক্তিধর অধিকাংশ দেশই নিজেদের পরমাণু অস্ত্রের ভাঁড়ার ভরাতে ব্যস্ত। তবে এক্ষেত্রে বাকিদের টেক্কা দিয়েছে চিন। ভারতের ৩ গুণের বেশি পরমাণু ওয়ারহেড মজুত করে ফেলেছে তারা। ভারতের অপারেশন সিঁদুর নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে রিপোর্টে। এসআইপিআরআই-এর এক শীর্ষ গবেষকের মতে, ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময় বিভিন্ন মাধ্যমে পরমাণু কাঠামোয় হামলা নিয়ে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। এই ধরনের বিভ্রান্তি একটি প্রচলিত যুদ্ধকে পারমাণবিক সংকটে পরিণত করতে পারে।
The put up Nuclear bombs | বছরে ১০০ করে পরমাণু বোমা বানাচ্ছে চিন, দাবি রিপোর্টে appeared first on Uttarbanga Sambad.