উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন অবিরাম বৃষ্টি ও ভূমিধসের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তর সিকিম (North Sikkim)। ফলে আটকে পড়েন বহু পর্যটক। তবে সোমবার আবহাওয়া কিছুটা অনুকূল হওয়ায় লাচুংয়ে (Lachung) পর্যটকদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। এমনটাই খবর প্রশাসন সূত্রে। জানা গিয়েছে, পর্যটকদের ধাপে ধাপে গ্যাংটকে নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। দীর্ঘপথ হেঁটে তারপর তাঁরা গাড়িতে উঠতে পারছেন। তবে লাচেনে আটকে থাকা পর্যটকদের নামিয়ে আনতে সময় লাগবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ। বন্যা পরিস্থিতি ও ভূমিধসের (Northeast Landslide) জেরে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গত দু’দিনে ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে ভারতীয় বায়ুসেনা এবং অসম রাইফেলসের আধিকারিকরাও।
এদিকে গত ২৯ মে রাস্তা থেকে প্রায় এক হাজার ফুট গভীরে তিস্তা (Teesta) নদীর সংযোগকারী লাচেনচু নদীতে পড়ে গিয়েছিল পর্যটকবোঝাই একটি গাড়ি। ঘটনায় মৃত্যু হয় একজনের। নিখোঁজ হয়ে পড়েন ৮ জন। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। তার কয়েকদিন আগেও মুন্সিথাংয়ে বড় ধরনের ধস নেমে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল লাচেন। আটকে পড়তে হয়েছিল পর্যটকদের। রাত তো বটেই, দিনেও ওই পথে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা। ফলে বৃহস্পতিবার রাতের দুর্ঘটনা উত্তর সিকিমে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
উত্তর সিকিমে বেড়াতে যাওয়ার আগে, সেখানকার অবস্থা এবং আবহাওয়া জেনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিকিমের পর্যটন দপ্তর। সরাসরি না করলেও, এখনই যাতে উত্তর সিকিমে পর্যটকরা বেড়াতে না যান, কার্যত সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মূলে রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। পাশাপাশি রয়েছে ধসের জেরে একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং রাত হলেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা তিস্তা। রবিবার রাতে নতুন করে ত্রাস হয়ে উঠেছিল তিস্তা। সিংতাম তো বটেই, জলস্তর বেড়ে গিয়েছিল সেবকেও।