নয়াদিল্লি: ওভাল অফিসে পাশে বসিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে যেভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া কথা শুনিয়েছেন, তাকে সামনে রেখে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেছেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং। শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে প্রাক্তন মার্কিন বিদেশসচিব হেনরি কিসিংগারের একটি বিখ্যাত উক্তি পোস্ট করেছেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ। সেখানে কিসিংগার বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু হওয়া বিপজ্জনক। কিন্তু বন্ধু হওয়া মারাত্মক।’ সেই কথা জানিয়ে সঞ্জয় সিং লিখেছেন, ‘এই কথোপকথন প্রমাণ করেছে ট্রাম্প কীভাবে কটূ কথা শুনিয়েছেন। তাই ট্রাম্পের হাতের পুতুলে পরিণত না হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উচিত অপরাধীদের মতো ভারতীয়দের শেকল পরিয়ে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কড়া বার্তা দেওয়া।’ ট্রাম্প জমানার শুরু হতেই যেভাবে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের হাতে হাতকড়া এবং শেকল পরিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থানেরও সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। ভারতে এখনও পর্যন্ত তিন শতাধিক অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এদিকে শুক্রবারই কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের বিরুদ্ধে আমেরিকা থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের অমানবিকভাবে দেশে ফেরানো নিয়ে সংসদে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাগরিকা ঘোষ। বিদেশমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ দিয়ে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, সংসদে অর্ধসত্য ও অসম্পূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করেছেন তিনি। আমেরিকার ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক থাকা ভারতীয়দের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাগরিকা। তাঁর অভিযোগ, ‘তাঁদের পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হয়নি, দিনে পাঁচবার শুধু চিপস ও জুস দেওয়া হয়েছে। অনেকে পেয়েছেন অর্ধসিদ্ধ খাবার বা আমিষ খাবার, যা তাঁদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরোধী।’ সাগরিকার আরও অভিযোগ, এই ভারতীয়দের বেশিরভাগই ভিসা দালালদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাঁদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বেআইনি পথে আমেরিকায় পাঠানো হয়েছিল। অথচ বিদেশমন্ত্রী সংসদে দেওয়া বিবৃতিতে এই গুরুতর বিষয়টি নিয়ে একটিও কথা বলেননি।