সাগর বাগচী, শিলিগুড়ি : বর্জ্য পদার্থে ছেয়ে গিয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর। বিভিন্ন বিভাগের পিছনের দিকে প্লাস্টিকে মোড়া বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। যা থেকে দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূষণ ছড়াচ্ছে। কিন্তু সেগুলি নিয়মিত কেন পরিষ্কার করা হচ্ছে না তা নিয়ে রোগীর পরিজনরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। বিষয়টি নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ‘বর্জ্য পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকদিন ধরে সমস্যা রয়েছে। তবু নিয়মিত সেগুলি সরিয়ে ফেলা হয়। যে আবর্জনা জমে রয়েছে তা সবই জৈব।’
ব্লাড ব্যাংকের পিছনের অংশ, সুপারস্পেশালিটি ব্লকের আশপাশের অংশে আবর্জনা ছেয়ে গিয়েছে। যেখানে কালো, নীল প্লাস্টিক মোড়া বর্জ্যের মধ্যে থেকে উচ্ছিষ্টের সন্ধানে দিনের বেলায় গবাদিপশু চরে বেড়াচ্ছে। মেডিকেলের জঞ্জাল সমস্যা সমাধানে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের তরফে জঞ্জাল প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরি করেছে। কিন্তু সেটাও ঠিক করে কাজ করছে না বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ির চম্পাসারির বাসিন্দা রাধারানি সরকার তাঁর ছেলেকে মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছেন। রাধারানির কথায়, ‘মেডিকেলে এর আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দেখেছি। কিন্তু এবার কেন এত আবর্জনা জমে রয়েছে জানি না। এই আবর্জনা থেকে রোগ ছড়াতে পারে। তাছাড়া, মেডিকেল কলেজের মতো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এত আবর্জনা থাকবে তা ভাবা যায় না।’
মেডিকেলে এমনিতে সাফাইকর্মীর সংকট রয়েছে। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে মেডিকেল সাফাইয়ের ক্ষেত্রে সারাবছর সহায়তা করা হয়। কিন্তু তারপরও মেডিকেলে প্রতিদিন পুরোপুরি সাফাই হয় না। শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব বিশেষ বিশেষ সময় মেডিকেলে সাফাইকর্মী পাঠান ঠিকই, তা নিয়মিত হয় না। যে কারণে বছরের অধিকাংশ সময় আবর্জনা উপচে পড়ে। বিধাননগর থেকে মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য এসে হতবাক তুফান রাহা নামে এক ব্যক্তি। তুফানের কথায়, ‘মেডিকেলের মতো জায়গায় পরিচ্ছন্নতাকে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।’