নাগরাকাটা: একদিনেই খরস্রোতা গাঠিয়া নদীতে ভেসে মৃত্যু হল দু’জনের। প্রথম ঘটনাটি ঘটে শনিবার সকালে। পরেরটি ঘটে বিকেলে। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম রিমিজ ওরাওঁ (৩৫) ও প্রহ্লাদ এক্কা (৪৭)। বাড়ি যথাক্রমে নাগরাকাটার (Nagrakata) গাঠিয়া চা বাগানের কেশর লাইন ও গ্রাসমোড় চা বাগানের ৪ নম্বর লাইনে। দুই বাগানেরই পাশ দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এদিন ভোরে নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন রিমিজ ওরাওঁ। সম্ভবত সে সময়ই তিনি ভেসে যান। সকালে ছাড়টন্ডু বস্তি লাগোয়া স্থানে নদীর মাঝে একটি পাথরের খাঁজে দেহটি আটকে ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।
অন্যদিকে, এই ঘটনার রেশ না কাটতেই ফের বিকেলে পুলিশের কাছে আরও একটি দেহ নদীতে আটকে থাকার খবর আসে। জানা যায়, প্রহ্লাদ এক্কা নামে এক ব্যক্তি নদী পেরিয়ে অন্য পাড়ে তাঁদের ধানের জমিতে চাষের কাজ করতে যাচ্ছিলেন তখনই ঘূর্ণি স্রোতের কবলে পড়ে তিনি ভেসে যান বলে অনুমান করা হচ্ছে। প্রথম দেহটি যেখান থেকে উদ্ধার হয় তার কিছুটা দূরে ওই দেহটি ছিল। এক্ষেত্রেও ঝুঁকি নিয়ে নদীবক্ষে নেমে উদ্ধারকারীরা দেহ উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসেন।
সকাল ও বিকেলের দু’টি ঘটনার সময়ই স্থানীয়রা এসে নদীর পাড়ে ভিড় জমান। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘দেহটি এমনভাবে আটকে ছিল যে উদ্ধার করতে যারা গিয়েছিলেন তাঁদের বেগ পেতে হয়েছে।’ নাগরাকাটা থানার আইসি কৌশিক কর্মকার বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। দু’টি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।’ স্থানীয়রা জানাচ্ছেন শুক্রবার রাত থেকেই নদী উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এর কারণ এলাকায় বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি পাহাড়ের তুমুল বৃষ্টি। ওই নদী ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসে। এদিন দুপুরের দিকে বৃষ্টি না থাকলেও জলস্রোত ছিল মারাত্মক।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই বিকেলেও ওই নদীতে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। নদীবক্ষে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানির পাইপ লাইনের কাজ করতে গিয়ে আচমকা চলে আসা হড়পার জেরে আটকে যান ৩ শ্রমিক। কোনওরকমে আর্থমুভার নামিয়ে সেদিন তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
