নাগরাকাটা: বৃহস্পতিবার ভোরে নাগরাকাটার কলাবাড়ি চা বাগান থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ বন দপ্তরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ে। ছাগলের টোপ সংবরণ করতে না পেরে বুনোটি খাঁচাবন্দী হয় বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে গত ৮ দিনে দুটি চিতাবাঘ ধরা পড়ল এই বাগান থেকে। এর আগে গত ৪ জুন বন দপ্তরের পাতা খাঁচাতেই ধরা পড়েছিল একটি চিতাবাঘ।
বন দপ্তর সূত্রের খবর, এদিন কলাবাড়িতে ১৩ নম্বর সেকশনে পেতে রাখা খাঁচায় চিতাবাঘটি ধরা পড়ে। এর আগের চিতাবাঘটিও ওই একই সেকসন থেকে ধরা পড়েছিল। এদিনের ঘটনাটি নিমেষের মধ্যে চাউর হতেই দলে দলে শ্রমিকরা সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে বন দপ্তরের বিন্নাগুড়ি রেঞ্জের বনকর্মীরা এসে খাঁচা সহ চিতাবাঘটি নিয়ে যায়।
এর আগে কলাবাড়িতে এক নাগাড়ে চিতাবাঘের বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। গত ৮ মাসে ৮ জন জখম হয়েছেন চিতার আক্রমণে। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায়। সেদিন আধ ঘন্টার ব্যবধানে একাধিক সাইকেল ও বাইক আরোহীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘ। ঘটনায় জখম হন ৩ জন। চিতাবাঘের উপদ্রব শুরু হওয়ার পরই সেখানে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ৮ মাস ধরে কোনও সুফল মেলেনি। অবশেষে পরপর দুটি চিতা বাঘ ধরা পড়ায় এখন অনেকটাই স্বস্তি ফিরে এসেছে প্রত্যন্ত বাগানটিতে। ঘটনাপ্রসঙ্গে বন দপ্তরের বন্যপ্রাণ শাখার বিন্নাগুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার জানান, বাগানটির ওপর সতর্ক নজর রেখে চলা হচ্ছে। নিয়মিত সেখানে মানুষ-বুনোর সংঘাত প্রতিরোধে কি করনীয় তা নিয়ে সচেতনতা শিবির চলছে। যদিও পিন্টু বড়াইক নামে এক শ্রমিকের বক্তব্য, ‘আতঙ্ক কেটেছে। তবে আমাদের ধারণা এখানে আরও চিতাবাঘ রয়েছে।’ বন দপ্তরের তরফেও এখানে আরও খাঁচা পাতার কথা বলা হয়েছে।